Mamata Banerjee: 'অমর্ত্য সেনকে অসম্মান করছেন, বিবেকের দংশন হবে', নাম না করে বিশ্বভারতীকে নিশানা মমতার
অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতীর মধ্যে জমি বিতর্ক যখন তুঙ্গে। তখনই জমির আইন-সংক্রান্ত সমস্ত কাগজ-পত্র নিয়ে নোবেলজয়ীর বাড়ি পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বীরভূম: বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) মনোভাব খতিয়ে দেখুক কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর। যাঁরা সমালোচনা করে, একদিন ফুরিয়ে যাবেন। এখানে এসে একটা ছোট্ট ছক্কা মেরে গেলাম। অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) যাঁরা অসম্মান করছেন, তাঁদের বিবেকের দংশন হবে'। নাম না করে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) উপাচার্যকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর।
নোবেলজয়ীর বাড়ি পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী: অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতীর মধ্যে জমি বিতর্ক যখন তুঙ্গে। তখনই জমির আইন-সংক্রান্ত সমস্ত কাগজ-পত্র নিয়ে নোবেলজয়ীর বাড়ি পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সেখানে পৌঁছে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে Z+ ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দেওয়ারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী: সেখানে থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বভারতীর বিরোধীতায় একাধিক কথা বলেন মমতা। এদিন তিনি বলেন, 'অমর্ত্য সেনের যেন কোনও অসুবিধা না হয়, সেটা দেখা আমার কর্তব্য। অমর্ত্য সেন শুধু বাংলা, বিশ্বকে সম্মানিত করেছেন। অমর্ত্য সেনকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম। অশ্রদ্ধা করা কারও অধিকার নয়। একটা কাগজ পেয়েছিলাম, কিছু বলিনি। সরকারে জমি দফতর থেকে কাগজ জোগাড় করেছিলাম। কাগজ আমি অমর্ত্য সেনকে দিয়ে গেলাম। বিজেপির নামাঙ্কিত কিছু গৈরিকধারী মানুষ রয়েছেন। বিশ্বভারতীকে রবীন্দ্রনাথের চোখে দেখি, গৈরিকিকরণের চোখে দেখি না।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'হৃদয়ের বইয়ের ডালি দিয়ে গেলাম, উনি আমাকে ফুল দিয়েছেন, চা খাইয়েছেন। সত্য জানাতেই এখানেই ছুটে আসা। ২৪ জানুয়ারি সম্ভবত চিঠি দেওয়া হয়েছিল। বিশ্বভারতীকে জমি দেওয়ার রেকর্ড বার করা হয়েছে। ১৯৮৪ সালে রাজ্য সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের তথ্য। যে জমি লিজে নেওয়া হয়েছিল সেটি হল এক দশমিক ৩৮ একর। বিশ্বভারতীর দাবি ১. ২৫ একর। '১৩ ডেসিমেল জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনকে অসম্মানিত করার চেষ্টা'
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, 'বিশ্বভারতীর মনোভাব খতিয়ে দেখুক কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর। যাঁরা সমালোচনা করে, একদিন ফুরিয়ে যাবেন। এখানে এসে একটা ছোট্ট ছক্কা মেরে গেলাম। এই বিশ্বভারতী রবীন্দ্রনাথ চিন্তা করেছিলেন ? অমর্ত্য সেনকে যাঁরা অসম্মান করছেন, তাঁদের বিবেকের দংশন হবে। যাঁরা কোর্ট-কাছারি করেন, মনে রাখবেন জনগণের কোর্ট একটা বিষয় আছে। কাল আবাসিক-পড়ুয়াদের অভিযোগ শুনব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আসল নোবেলটা কোথায় গেল ?'