Birbhum : ৫০ হাজার-১ লক্ষ টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল ! চক্ষু চড়কগাছ মুরারইয়ের গ্রামের বাসিন্দাদের
বিপুল অঙ্কের বিদ্যুতের বিল এসেছে। টাকা দিতে না পারায় কেটে দেওয়া হয়েছে লাইন। অদ্ভূতুড়ে কাণ্ডটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারইয়ের বটতলা গ্রামে।
গোপাল চট্টোপাধ্যায় ও এরশাদ আলম, মুরারই (বীরভূম) : বিপুল অঙ্কের বিদ্যুতের বিল এসেছে। টাকা দিতে না পারায় কেটে দেওয়া হয়েছে লাইন। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে বকেয়া বিদ্যুতের বিল মেটাবেন, সেই ভেবেই আকুল মুরারইয়ের বটতলা গ্রামের বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা।
বিপুল অঙ্কের বিদ্যুতের বিল নিয়ে চিন্তায় মুরারইয়ের বটতলা গ্রামের বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। জানা গেছে, এখানে কারও ইলেকট্রিক বিল এসেছে ২০ হাজার, কারও ৫০ হাজার, কারও বা এক লক্ষ টাকার বেশি। বিল হাতে পেয়ে চক্ষু চড়কগাছ গ্রামবাসীর। অদ্ভূতুড়ে কাণ্ড ঘটেছে বীরভূমের মুরারইয়ের বটতলা গ্রামে।
গ্রামের বাসিন্দাদের অধিকাংশই দিনমজুর। কেউ কেউ আবার ভাগচাষি। কোনওমতে একটা ঘরে দিন গুজরান করেন। লাখ টাকার ওপর বিদ্যুতের বিল আসায় তাঁরা হতভম্ব। সুকল বেসরা নামে বটতলার এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের উল্টোপাল্টা বিল এসেছে। কারও হাজার হাজার টাকা, কারও লক্ষাধিক টাকা বিল। এপ্রসঙ্গে মঙ্গল সরেন নামে বটতলার অপর এক বাসিন্দা বলেন, এত টাকা বিল কীভাবে দেব ? লাইন কেটে দিয়ে গেছে। কেন এত বিল এল তা দেখা উচিত।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, মাসখানেক আগে ২৫-৩০টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তার পর থেকে অন্ধকারেই বাস। সেই অন্ধকারের মধ্যেই ইলেকট্রিক বিল হাতে পেয়ে চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন বাসিন্দারা। এনিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা। এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সহকারি ইঞ্জিনিয়ার(মুরারই) তপনকুমার সৌমণ্ডল জানিয়েছেন, সবে পাঁচ মাস হল এখানে জয়েন করেছি। বিষয়টা আমার নজরে এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।
তবে, WBSEDCL বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও, শেষ পর্যন্ত কী হবে, কবে সমস্য়ার সমাধান হবে তা ভেবে চিন্তায় ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীর।