Poush Mela: শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে কিছু জানায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ? পৌষ মেলা নিয়ে চরম ধোঁয়াশা
Shantiniketan Trust : পৌষ মেলা শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অর্থানুকূল্যে হয়ে থাকে। সাহায্য করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, শান্তিনিকেতন : মেলা নিয়ে তাদের কিছু জানায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাদের কোন চিঠিও দেওয়া হয়নি। শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট একথা জানিয়ে দেওয়ার পরেই পৌষ মেলা নিয়ে চরম ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এর ফলে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে এবারও পৌষ মেলা হবে কি না তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
এদিকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিকের তত্ত্বাবধানে শুক্রবার কর্মসমিতির (ইসি) বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরিবেশ আদালত দূষণবিধি বিষয়টি পরিষ্কার জানালে তবেই ছোট করে পৌষ মেলা করা যেতে পারে। অর্থাৎ মেলা নিয়ে পুরো দায়ভার পরিবেশ আদালতের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, পৌষ মেলা শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অর্থানুকূল্যে হয়ে থাকে। সাহায্য করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ট্রাস্টকে না জানানোয় মেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২০১৯ সালে শেষ বার পূর্বপল্লির মাঠে হয়েছিল শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মেলা। তবে, এরপর থেকেই তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে শুরু হয় রাজ্য সরকারের সংঘাত। সংঘাত এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তাঁর একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয় তৃণমূল। এমনকী, পড়ুয়া, আশ্রমিক, প্রাক্তনীরাও। তাই ২০২১ ও ২০২২ সালে পূর্বপল্লির মাঠে পৌষ মেলা বন্ধ করে দেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র।
তবে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর পৌরসভা ওই দুই বছর ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প মেলার আয়োজন করেছিল ৷
তবে, পৌষ মেলা (Poush Mela) আয়োজিত না হলেও রীতি মেনে পৌষ উৎসবের (Poush Utsav) আয়োজন করা হয় বিশ্বভারতীতে (Visva-Bharati University)। ভোরে বৈতালিকের পর সকালে ব্রহ্ম উপাসনা হয় ছাতিমতলায়। উপাসনায় অংশ নেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Vidyut Chakraborty)। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীরা। তিনদিন ধরে চলে পৌষ উৎসব।
শান্তিনিকেতনে পৌষ উৎসবকে কেন্দ্র করে ২৩ ডিসেম্বর থেকে পূর্বপল্লির মাঠে শুরু হয় পৌষমেলা ৷ ঐতিহ্যবাহী এই মেলার টানে লাল মাটির দেশে ভিড় জমান দেশ, বিদেশের পর্যটকরা। পসরা বসে রকমারি জিনিসের। কিন্তু ২০২১ ও ২০২২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় পৌষমেলা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।