Birbhum News:'রাস্তায় নো-এন্ট্রি বসিয়ে টাকা তুলছে পুলিশ..' ! অবরোধ করে বিক্ষোভ শান্তিনিকেতনে
Santiniketan Agitation: পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বোলপুর-শ্রীনিকেতন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: পৌষমেলা থেকে বোলপুর-শ্রীনিকেতন চৌমাথা মোড়ে 'নো-এন্ট্রি'-র করে টাকা তুলছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। টাকা দিলেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ডাম্পার। রাতের অন্ধকারে চলছে বালি, মাটির গাড়ি। এর ফলে সমস্যায় পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে স্কুলে যাওয়া ছাত্রছাত্রীরা।
পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে বোলপুর-শ্রীনিকেতন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর ফলে ব্যাপক যানজট হয়। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পুলিশের সামনেই চলে বিক্ষোভ। পৌষ মেলা থেকে বোলপুর-শ্রীনিকেতন চৌমাথা মোড়ে বোলপুর থেকে সিউড়ি যাওয়ার রাস্তায় নো-এন্ট্রি করে টাকা তুলছে পুলিশ। বিশেষ করে সিভিক ভলেন্টিয়াররা এই কাজ করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। যে সব গাড়ির চালক টাকা দিচ্ছে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নো-এন্ট্রি থাকলে টাকা দিলে কীভাবে ডাম্পার সেই রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
বছরটা ২০২৪। সোশ্যাল মিডিয়াতে তখন একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টিভেজা কলকাতার রাস্তায় ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে একজন বাসচালকের হাত থেকে কিছু একটা নিচ্ছিলেন কর্তব্যরত একজন পুলিশ কর্মী। ছবিটিতে কলকাতার ওই ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মী বাসচালকের থেকে ঘুষ নিচ্ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে দাবি করা হয়েছিল যে ওই ছবির সঙ্গে যে দাবি করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়ো।
আরও জানানো হয়েছিল যে উল্টোডাঙা ট্র্যাফিক গার্ডের একজন সার্জেন্ট রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করার জন্য একটি বেসরকারি বাসচালকের থেকে স্পট ফাইন নিচ্ছিলেন। নিজেদের দাবির স্বপক্ষে কলকাতা পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে কলকাতা পুলিশ একটি চালানের ছবিও পোস্ট করেছিল। যাতে দেখা যাচ্ছিল যে স্পট ফাইনের একটি কাগজ এবং তাতে লেখা রয়েছে ২০২৪ সালের ২৫ অগাস্ট। ওই ছবিটি পোস্ট করে দাবি করা হয়েছিল, ওই ট্র্যাফিক পুলিশ সার্জেন্ট ঘুষ নিচ্ছিলেন না বরং সরকারি কোষাগারে টাকা জমা করার জন্য বাসচালকের থেকে স্পট ফাইন নিচ্ছিলেন।
যদিও ভাইরাল হওয়া ছবি ও পোস্টটি খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছিল যে ঘটনাটি এই বছরের ২৫ অগাস্টের নয় বরং গত বছরের। ২০২৩ সালের ৬ অগাস্ট ফেসবুকে আমরা বেহালাবাসী নামে একটি ফেসবুক পেজে ভাইরাল ওই ছবিটি সহ আরও একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন একজন ব্যক্তি। তাতে নিমতা-সল্টলেক সেক্টর ৫ রুটে চলা ২০১ নম্বর একটি বাসের চালকের হাত থেকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল একজন ট্র্যাফিক
পুলিশ কর্মীকে। ছবিটি পোস্ট করে ওই ব্যক্তি লিখেছিলেন, এভাবে এইমাত্র একজন বাস চালকের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন একজন সহৃদয় পুলিশ কর্মী। চালকের সঙ্গে চিরকূট আদান প্রদানের পর অন রোড ক্যাশের লেনদেন হয়েছিল ওই বাসের কন্ডাক্টরের হাত দিয়ে। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অলিখিত অনুমতিপত্র এভাবেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল। রাস্তায় বের হলেও এসব দেখা গিয়েছিল।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
