Tarapith: নতুন বছরে উপচে পড়া ভিড় তারাপীঠে, ভোর থেকেই মায়ের মন্দিরে পুজো শুরু..
Birbhum Tarapith Kali Temple Puja: নতুন বছর উপলক্ষে ভক্তের ভিড় তারাপীঠে..
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: নতুন বছর উপলক্ষে ভক্তের ভিড় তারাপীঠে। বুধবার সকাল থেকে 'নতুন বছর ভালো কাটুক', এই ইচ্ছে নিয়ে তারা মায়ের কাছে পুজো দিচ্ছেন ভক্তরা। মনস্কামনা পূর্ণ করার জন্য, এই জেলার বিখ্যাত কঙ্কালিতলা মন্দিরেও পুজো দিচ্ছেন তাঁরা। এইদিন তারাপীঠ তো বটেই, সেই সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর, বেলুড়মঠেও প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সকাল থেকেই দূরদূরান্ত থেকে হাজির হয় অসংখ্য মানুষ।
সারা বছরই নিয়ম অনুযায়ী কমবেশি পুজো হয়ে থাকে তারাপীঠে। কিছুদিন আগেই ছিল কালীপুজো। দীপান্বিতা অমাবস্যায় হয়েছিল শক্তির আরাধনা। তার আগের দিন ছিল ভূত চতুর্দশী। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের দিনটিতে ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশী হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। কথিত আছে, কার্তিক মাসের এই তিথিতে নরকাসুরকে বধ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই থেকে নাম নরক চতুর্দশী। মানুষের বিশ্বাস, নরকাসুর এদিন তার সঙ্গী ভূত-প্রেতদের নিয়ে মর্ত্যে আসেন পুজো নিতে। তাদেরকে দূরে রাখতেই চতুর্দশীতে ১৪ প্রদীপ দেওয়ার রীতি। তাই এই দিনটিকে ভূত চতুর্দশীও বলা হয়। রীতি অনুসারে, ভূত চতুর্দশীতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় বাড়ির চারপাশ। ১৪ ভূবনের অধিপতি শিবের পুজো করা হয়ে থাকে। ১৪ ভূবনের উদ্দেশে জ্বালানো হয় ১৪টি প্রদীপ, পুজোর নৈবেদ্য ১৪ রকমের শাক। সন্ধ্যায় মৃত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে প্রদীপ জ্বলে ওঠে ঘরে ঘরে। মনে করা হয়, এতে যমরাজ প্রসন্ন হয়ে মৃত ব্যক্তির আত্মাকে মুক্ত করেন।
আরও পড়ুন, CBI-পুলিশের নামে এল ফোন, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা রাজ্যের বাসিন্দার !
অপরদিকে, ভাদ্র মাসের বিশেষ তিথিতে পালিত হয় কৌশিকী অমাবস্যা। শাস্ত্র মতে তন্ত্রসাধনার জন্য এই দিনটির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এইদিন তারাপীঠে সারারাত ধরে চলে নিশিপূজো। সেই প্রথা মেনেই এই বছরও কৌশিকী অমাবস্যার প্রথম রাতেই তারাপীঠে গর্ভগৃহে রাতভর করা হয়েছিল নিশিপুজো। তারা মায়ের সামনে করা হয়েছিল বিশেষ আরতি। ধূপ-পঞ্চপ্রদীপ-কর্পূরে আরতি করা হয়েছিল মা তারার। আরতি করা হয়েছিল দেবীর রাজ-রাজেশ্বরী মূর্তিকে। সাধারণ ভক্ত ছাড়াও মন্দিরে যজ্ঞ করার জন্য বহু তান্ত্রিক ও সাধুর সমাগম হয় কৌশিকী অমাবস্যায়। নিশিপূজার কারণে এই দিনটি তারা রাত্রি বলেও পরিচিত। এদিন সকাল থেকেই প্রচুর ভক্তদের সমাগম হয়েছিল মন্দির চত্ত্বরে। সারাদিন ধরেই আয়োজন থাকে বিশেষ পুজোর। বহু দুর-দুরান্ত থেকে মানুষ পূজো দিতে আসেন। দেবীকে নিবেদন করা হয় কাঠের জ্বালে রান্না করা বিশেষ ভোগ। মন্দির চত্বরে থাকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। থাকে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থাও। তবে কেবল তারাপীঠে নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানেই এইদিন বিভিন্ন রূপে পূজিত হন মা তারা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।