Birbhum News: 'বিজেপি করার অপরাধে' বেধড়ক মার, গ্রামছাড়া করার হুমকি, কাঠগড়ায় তৃণমূল
Birbhum Violence:' গ্রামে এবিভিপির পোস্টার কেন লাগালি ? ' বলে ফোন, 'বিজেপি করার অপরাধে', নানুরের এক পরিবারকে মারধোর করে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
পরিতোষ দাস,বীরভূম: 'বিজেপি (BJP) করার অপরাধে', নানুরের এক পরিবারকে মারধোর করে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে। গ্রামে এবিভিপির পোস্টার লাগানোর অভিযোগ তুলে, বীরভূমে নানুরের বালিয়ারা গ্রামের বিজেপি কর্মী টুটুল মন্ডলকে টেলিফোন করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও গ্রামছাড়া করার হুমকি অভিযোগ উঠেছে গ্রামেরই তৃণমূল নেতা মিঠুন গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত্রিতে তৃণমূল নেতা মিঠুন গাঙ্গুলী বিজেপি কর্মী টুটুল মন্ডলকে,' গ্রামে এবিভিপির পোস্টার কেন লাগালি' বলে ফোন করে, এরপর তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও গ্রামছাড়া করার হুমকি দেন। তৎক্ষণাৎ ফোন করতে করতেই পৌঁছে যান বিজেপি কর্মী টুটুল মণ্ডলের বাড়িতে। সেখানে তার অসুস্থ বাবা ও মাকে মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি আরও অভিযোগ, টুটুল মন্ডলকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। মারধোর করা ও টেলিফোনে হুমকি দিয়ে গালিগালাজ দেওয়ার কথা যদিও অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মিঠুন গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, 'গ্রামে একটা ঝামেলা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু কোনও মারধর করা হয়নি। আর মোবাইলের গালিগালাজ করার কথোপকথনও তাঁর নয়', বলে তিনি দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্ত এখনও চলছে। একুশের বিধানসভা ভোটের পর ঘরছাড়া থেকে শুরু করে 'বিজেপি করার অপরাধে' খুন হওয়ার একের পর এক অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যে এসে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন। মামলা ওঠে হাইকোর্টে। রাজ্যে এসেছিল জাতীয় মানবধিকার কমিশন। তথ্য জমা দেয় তারাও। তবে বিজেপির এই অভিযোগের পাশাপাশি তৃণমূলও সমস্বরেই সরব হয়েছিল। জানিয়েছিল, তাঁদের একের পর এক কর্মীরাও খুন হয়েছেন। তবে এই মামলা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে যাওয়ার পরে এখন জর্জরিত শাসকদল। কারণ আরও একাধিক মামলার সঙ্গে নয়া যোগ ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা। যেখানে তৃণমূলের হেভিওয়েট অনুব্রত মণ্ডলের নামও আছে।এদিকে পার্থ-গ্রেফতারের পর রাজ্যে রাতারাতি মন্ত্রিত্বে রদবদল করে তৃণমূলের সরকার। নিমন্ত্রন পেয়েও কেন সেই অনুষ্ঠানে যাননি, কারণ বলতে গিয়ে সেদিনও, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথাতেও উঠে এসেছিল এই ভোট পরবর্তী হিংসার কথাই।
আরও পড়ুন, 'চোর ধরো, জেলে ভরো', বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দিলীপ-সুকান্তরা
শুভেন্দু বলেন,' আপনারা জানেন যে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আগে ডাকতো না। সম্প্রতি ডাকা শুরু হয়েছে। মুখ্যসচিব কার্ড দিয়েছিলেন। আমি এজন্য ধন্যবাদ জানাবো। আমার যেতেও কোনও আপত্তি ছিল না। মন্ত্রিসভার তালিকাটা দেখছিলাম। তাতে ভারতীয় জনতা পার্টি, বিশেষ করে সনাতনী হিন্দুদের উপরে ভোটের পরে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য, যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন, এমন দুজনকে পূর্ণমন্ত্রী করেছে।উদয়ন গুহ এবং পার্থ ভৌমিককে। এরা সরাসরি ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযোগে অভিযুক্ত। এবং নির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। এবং আপনারা জানেন, এনএইচআরসি, হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে যাদের নাম জমা পড়েছিল, তাঁদের মধ্যে এই দুজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী আছে।এখন ওখানে গিয়ে তো এগুলি আর বলা যেত না, নমষ্কার করতে হতো। হাসি মুখ রাখতে হত। সনাতনীরা খুব আঘাত পেতেন, তাই যায়নি।'