Suvendu Adhikari: ‘রামপুরহাটে গণহত্যা, গণদাহ’ আগামিকাল বকটুই গ্রামে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
Birbhum: তৃণমূল উপ প্রধান খুনের পর অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট। বকটুই গ্রামের অন্তত ১০টি বাড়িতে আগুন লাগে। একই বাড়ি থেকে ৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, পরে আরও ৩ জনের মৃত্যুর কথা জানায় দমকল।
কলকাতা: ‘রামপুরহাটে (Rampurhat) গণহত্যা, গণদাহ হয়েছে। ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র, রাজ্যপালের (Jagdeep Dhankhar) কাছে দাবি জানিয়েছি।’ মঙ্গলবার রামপুরহাট (Rampurhat) প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বললেন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari)। এ দিন তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণ নিয়ে এনআইএ তদন্ত হোক। আর আলোচনা নয়, এবার উপযুক্ত পদক্ষেপ চাই। রাজ্যপাল (Governor Jagdeep Dhankhar) উদ্বিগ্ন। যা করার করছি, কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন, জানিয়েছেন রাজ্যপাল।’
তৃণমূল (TMC) উপ প্রধান খুনের পর অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট। বকটুই গ্রামের অন্তত ১০টি বাড়িতে আগুন লাগে। একই বাড়ি থেকে ৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, পরে আরও ৩ জনের মৃত্যুর কথা জানায় দমকল। ডিজিপির দাবি, একই বাড়ির ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে মৃত ১,। অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৬ মহিলা, ২ শিশু সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari) এও বলেন বিধায়ক দল এমএলএ হোস্টেল থেকে গতকাল দগ্ধ বাড়িগুলি পরিদর্শনে ওই গ্রামে যাচ্ছেন। রাজ্য় পুলিশের ডিজির থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাও চাওয়া হয়েছে বলেছে জানিয়েছেন তিনি। এরপর অগ্নিমিত্রা পাল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিংহরা রওনা দেবেন রামপুরহাটের বকটুই গ্রামের উদ্দেশে।
উল্লেখ্য, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ‘প্রতিশোধের আগুন নাকি অন্য কিছু, তদন্ত করবে সিট। এডিজি আইনশৃঙ্খলার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের সিট গঠন হয়েছে ইতিমধ্যেই। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রামপুরহাটের আইসি ও এসডিপিও-কে।’ ঘটনায় এমনটাই জানিয়েছেন ডিজিপি (DJP)।
এ দিন বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটে আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনার পর রাজ্য সরকারকে (West Bengal Government) কড়া আক্রমণ করে ট্যুইট করেন দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। বীরভূমের রামপুরহাটে সন্ত্রাসের আতঙ্ক। গতকাল রাতে এক উপপ্রধান ভাদু শেখের বোমা হামলায় মৃত্যুর পর ক্রুদ্ধ জনতা কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাত ভোর বর্বরতায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের বেশিরভাগই মহিলা। প্রশাসন ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। মৃত্যুর সংখ্যা কম দেখানোর চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পুলিশমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী।