Rampurhat Fire: রামপুরহাটকাণ্ডে মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই
মিহিলালের দাবি, গতকাল রাতে সিবিআইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে তাঁরা অন্যত্র যেতে পারছেন না।
বীরভূম: মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ : রামপুরহাটকাণ্ডের (Rampurhat Violence) তদন্তে এবার মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। তাঁকে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের (CBI) অস্থায়ী ক্যাম্পে ডাকা হয়। মিহিলালের দাবি, গতকাল রাতে সিবিআইয়ের (CBI) সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে তাঁরা অন্যত্র যেতে পারছেন না। সিবিআই অফিসাররা বাতাসপুরে এলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন।
বগটুই গ্রামে সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল: বগটুই গ্রামে (Bogtui Village) ফের এল সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। রামপুরহাটকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী কারা? খুঁজছে সিবিআই।আমাকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। এদিকে, ‘এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবে যুক্ত নই। বাড়িতে ছিলাম। ঘটনার পর খবর পাই।’ রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের জেরায় দাবি ধৃত তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের। এ কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তৃণমূল নেতা। খবর সিবিআই সূত্রে। এছাড়া, আজ সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে যাচ্ছে সিবিআইয়ের একটি দল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রামপুরহাটে ডাকা হয়েছে মিহিলাল শেখকে।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় তুলকালাম: উল্লেখ্য এদিকে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় তুলকালাম বাঁধে। বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের হাতাহাতি। একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। নাকের হাড় ভাঙল তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম-এ। মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভা চলছে, অথচ রামপুরহাট নিয়ে কেন যাবতীয় সরকারি ঘোষণা বাইরে করলেন মুখ্যমন্ত্রী? সংসদীয় ব্যবস্থায় এটা করা যায় না, অধ্যক্ষের সামনেই সাদা পোশাকের পুলিশ এনে হামলা চালানো হয়, দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রতিদিন আপনারা শুধু চিত্কার আর ওয়াকআউট করছেন, মন্তব্য অধ্যক্ষের। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পরবর্তী অধিবেশন পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষকে, দীপক বর্মন, নরহরি মাহাতোকে সাসপেন্ড করলেন অধ্যক্ষ।
এদিন রামপুরহাটকাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় পথে নামে বিজেপি। রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল। বিধানসভায় হামলার অভিযোগেও প্রতিবাদ।