Birbhum News: 'যাঁদের মাথায় নেই ছাদ, তাঁদেরই কেন তালিকা থেকে বাদ ?', TMC কর্মীদেরই বিক্ষোভের মুখে BDO
Awas Yojana List Controversy: এক বিক্ষুব্ধকে বলতে শোনা যায়, 'বিডিও ঘুষখোর।' সার্বিকভাবে আবাস প্রকল্পের তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিডিও অফিসে।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, রামপুরহাট : আবাস তালিকা নিয়ে বিতর্কের যেন শেষ নেই । বেশ কিছুদিন ধরেই আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যের আরও নানা জায়গার মতো বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্তেও বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিক্ষোভের মুখে একদিকে যেমন সরকারি আধিকারিকরা পড়েছেন, তেমনি তৃণমূল নেতারাও পড়েছেন। এবার আবাস যোজনায় 'দুর্নীতির' অভিযোগ তুলে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীদেরই একাংশ। 'যাঁদের মাথায় নেই ছাদ, তাঁদেরই কেন প্রকল্পের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ?' এই প্রশ্ন তুলে রামপুরহাট ১ নম্বর বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন শাসক দলের কর্মীরা। এনিয়ে বিডিও-র সঙ্গে বচসায়ও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা, কার্যত মারমুখী হয়ে ওঠেন। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, তর্কাতর্কির মধ্যেই বিডিও তাঁদের চড় মারতে উদ্যত হন। বিডিও তাঁদের বলেছেন, 'এখানে কিছু করা যাবে না, পঞ্চায়েতে যান।' এক বিক্ষুব্ধকে বলতে শোনা যায়, 'বিডিও ঘুষখোর।' সার্বিকভাবে আবাস প্রকল্পের তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিডিও অফিসে।
এর আগে ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে বীরভূমের নলহাটিতে বাংলা আবাস যোজনার দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় প্রশাসনের নাকের ডগায় আক্রান্ত হতে হয় সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যকে। সমস্যা সামাধানে এবং মারধরের বিচার পেতে "দিদি কে বলো" তে ফোনে নালিশ জানান বিরোধী শিবিরের ওই নেতা। যদিও হামলার কথা কার্যত এড়িয়ে যান অভিযুক্ত তৃণমূল উপপ্রধান। গোলমালের কথা স্বীকার করে আইনানুগ ব্যবস্থার আশ্বাস দেন বিডিও।
BDO অফিসে গেছিলেন বাংলা আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে। কিন্তু, সেখানেই তৃণমূলের একাংশের রোষের শিকার হতে হয় সিপিএম নেতাকে। বিহিত চেয়ে "দিদি কে বলো"-তে ফোন করেন বিরোধী শিবিরের আক্রান্ত নেতা। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় বীরভূমের নলহাটি ১নং ব্লক অফিস চত্বরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে নলহাটি ১ নং ব্লকের অফিসে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং ডাকা হয়। অভিযোগ, সেখানেই কলিঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে নালিশ করেন সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগ, এরপরেই সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যের ওপর চড়াও হন তৃণমূল উপপ্রধান সেলিম শেখ ও তাঁর দলবল। বিডিও অফিস চত্বরেই, সিপিএম নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
যদিও মারধরের অভিযোগ এড়িয়ে পাল্টা যুক্তি সাজান অভিযুক্ত তৃণমূল উপপ্রধান।
যদিও অফিস চত্বরে দু'পক্ষের মধ্যে গন্ডগোলের কথা স্বীকার করে নেন বিডিও।