Anubrata Mondal: অনুব্রতর লটারি তরজা! বোলপুরের দোকানের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ CBI-এর
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের লটারির পুরস্কার সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়। দোকানের কর্মীরা জানান, দেখে বলতে হবে।
বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডলের লটারি পাওয়ার তদন্তে আজ বীরভূমের বোলপুরে লটারির দোকানে গেলেন সিবিআই অফিসাররা। তাঁরা কিছুক্ষণ দোকানের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের লটারির পুরস্কার সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়। দোকানের কর্মীরা জানান, দেখে বলতে হবে। এর পরই দোকানের কর্মীদের নথি নিয়ে আজ বোলপুরের ক্যাম্প অফিসে আসতে বলে সিবিআই। ২০২১ সালে অনুব্রত লটারি জিতে ১ কোটি টাকা পেয়েছিলেন।
গরু পাচার তদন্তে এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে লটারি! এবছরের শুরুতেই, অনুব্রত মণ্ডলের নামে, একটি লটারির টিকিটে এক কোটি টাকা পুরস্কারের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু, তার সঙ্গে গরু পাচার মামলার যোগ নেই তো? গরু পাচারের কালো টাকা কি কোনওভাবে লটারিতে সাদা হয়েছে? তা এবার খতিয়ে দেখতে শুরু করল সিবিআই। বুধবার লটারি এজেন্সির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত ছবি ‘ভানু পেল লটারি’র কথা মনে আছে? ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা পুরষ্কারমূল্যের সেই লটারি ঘিরে কী ধুন্ধুমারকাণ্ডই না ঘটেছিল! আর এখন লটারি মানেই কোটি কোটি টাকা! আর তার সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে হেভিওয়েটদের নাম! গরু পাচারের তদন্তের সঙ্গে এবার জড়িয়ে গেল লটারি! গরু পাচারের কালো টাকা কি লটারির মাধ্যমে সাদা হয়েছে? অনুব্রত মণ্ডলের নামে লটারির টিকিটে ১ কোটি টাকা পুরস্কারের রহস্য কী?
এর নেপথ্যে কি রয়েছে কোনও আর্থিক অনিয়ম? তা নিয়ে এবার তদন্তে নামল সিবিআই! দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হল বোলপুরের লটারি এজেন্সির মালিককে। এবছর জানুয়ারির মাসে এই লটারির টিকিটের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। ছবির নীচে লেখা নাম লেখা ছিল অনুব্রত মণ্ডল। তারও নীচে লেখা বীরভূম, ওয়েস্ট বেঙ্গল! আর পাশে বড় করে লেখা ছিল, ৬ টাকার লটারির টিকিট কেটে, প্রথম পুরস্কার ১ কোটি টাকা জিতেছেন এই ব্যক্তি!
সিবিআই সূত্রে দাবি, গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল, তা খুঁজতে গিয়েই লটারির বিষয়টি তাদের নজরে আসে। তারপরই তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন, গরু পাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে কিনা। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে নেমে জানা যায়, অনুব্রত মণ্ডলের নামে লটারির টিকিটটি কেনা হয়েছিল বোলপুরের একটি এজেন্সি থেকে। সেই এজেন্সির মালিক বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে বুধবার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওই টিকিট কে কিনেছিলেন? অনুব্রত মণ্ডল নিজে? নাকি তাঁর কোনও আত্মীয় বা কর্মী? লটারিতে এক কোটি টাকা জিতলে, বিজেতা কত টাকা হাতে পান? লটারি এজেন্সির কাছে এই সংক্রান্ত কী রেকর্ড থাকে?
লটারির টিকিটের এই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর, অনুব্রত মণ্ডল অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন। যদিও, সিবিআই এখন লটারির বিষয়টিই গভীরে গিয়ে দেখতে চাইছে। সম্প্রতি জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রীও লটারিতে এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছেন। তা নিয়েও সরব হয়েছে বিরোধীরা।