Visva Bharati : 'পা ছুড়ে কাঁদলে হবে না' উপাচার্যকে কড়া বার্তা দিয়ে বিশ্বভারতীর হস্টেল খুলতে বলল হাইকোর্ট
Calcutta High Court Direct Visva-Bharati : হস্টেল খোলা-সহ তিন দফা দাবিতে, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন পড়ুয়ারা।
কলকাতা : দ্রুত হস্টেল খোলা-সহ তিন দফা দাবিতে লাগাতার ছাত্র আন্দোলন চলছিলই । এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল খোলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বিশ্বভারতীর উপাচার্যের উদ্দেশে ভর্ৎসনার সুরে বলেন, ‘আপনি প্রশাসক, সব সমস্যাতেই পা ছুঁড়ে কাঁদলে হবে না’।
রাজশেখর মান্থার বলেন, ‘অবিলম্বে হস্টেলের সমস্ত ঘর খোলার ব্যবস্থা করতে হবে' । তালা ভেঙে ঘর খুলে হস্টেল সচল করার নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতে হাজির ছিলেন ছাত্রদের ২ প্রতিনিধি, ২ কনস্টেবল। বিশ্বভারতী কমিটির উপস্থিতিতে হস্টেল খোলার নির্দেশ দেয় আদালত। ‘পরীক্ষার নির্ঘণ্ট অনুযায়ী পড়ুয়াদের ঘর বরাদ্দ করতে হবে’, নির্দেশ হাইকোর্টের।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা না কাটায়, সোমবারই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানিতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এদিকে পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে সোমবারও উত্তেজনা ছড়ায় ক্যাম্পাসে। হস্টেল খোলা-সহ তিন দফা দাবিতে, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন পড়ুয়ারা। অচলাবস্থা কাটাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যার প্রেক্ষিতে, তেসরা মার্চ বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানান, আন্দোলন করা গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। তবে পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে, বলেও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু অবস্থার তেমন পরিবর্তন না হওয়ায়, আদালতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যার ভিত্তিতে সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দফতরগুলি তালাবন্ধ রেখে পঠনপাঠনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে কি না, তা জানিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। এরপরই মঙ্গলবারও হয় শুনানি।
এর মাধ্যমে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের দাবিকে মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে খুলতে হবে হস্টেল। বিশ্বভারতীর ৬ সদস্যের কমিটি, পড়ুয়াদের ২ জনন প্রতিনিধি এবং শান্তিনিকেতন থানার দু’জন কনস্টেবলের উপস্থিতিতে সমস্ত ঘরের তালা ভেঙে হস্টেল খোলার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা উপাচার্যের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, ' আপনি একজন প্রশাসক। দক্ষ হাতে প্রশাসন সামলাতে হবে। সব সমস্যাতেই পা ছুড়ে কাঁদলে হবে না। '