Rampurhat Violence : 'ষড়যন্ত্র হয়েছে, ষড়যন্ত্র' বিস্ফোরক দাবি রামপুরহাট কাণ্ডে গ্রেফতার আনারুলের
Conspiracy Theory on Rampurhat Violence : এদিন রামপুরহাট মেডিক্যালে তাঁকে নিয়ে আসার পথেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন তিনি। পাশাপাশি অভিযোগ শানালেন ষড়যন্ত্রেরও।
সুকান্ত মজুমদার ও সন্দীপ সরকার, রামপুরহাট : রামপুরহাটকাণ্ডে (rampurhat violence) ষড়যন্ত্রের (conspiracy) শিকার তিনি, এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রামপুরহাটকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া আনারুল হোসেন (anarul hossain)। তাঁর কথায় 'ষড়যন্ত্র হয়েছে...ষড়যন্ত্র'। তবে কে বা কারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে জানতে চাওয়া হলে অবশ্য আর কোনও কথা বলেননি গ্রেফতার হওয়া রামপুরহাটের তৃণমূল নেতা (TMC leader)। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি আরও একটি বিস্ফোরক দাবিও করেছেন তিনি। আনারুলের দাবি, তাঁর কাছে পুলিশ (Police) ডাকার জন্য কোনও ফোন আসেনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (mamata banerjee) বগটুই গ্রামে গিয়ে আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার আগে জানিয়েছিলেন পুলিশে ফোন করতে বলা হলেও তেমনটা করেননি আনারুল। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের একাংশেরও তাই অভিযোগ ছিল। যদিও ফোন করার কথা অস্বীকার করার পাশাপাশি আনারুলের দাবি, 'গ্রেফতার করা হয়নি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই আত্মসমর্পণ করেছি।' রামপুরহাট কাণ্ডের দিন ও ঘটনার পরে আরও দু'দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন বলেই জানান আনারুল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের কিছুক্ষণ পরই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়েেছিল তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে। তারপর তাঁর ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের মুকোমুখি হয়েও আনারুল দাবি করেছিলেন, তিনি নির্দোষ, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই আত্মসমর্পণ করেছেন। এদিন রামপুরহাট মেডিক্যালে তাঁকে নিয়ে আসার পথেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন তিনি। পাশাপাশি অভিযোগ শানালেন ষড়যন্ত্রেরও।
যে বিস্ফোরক দাবি সামনে আসার পর কারোর নাম আনারুল না নিলেও তাঁর গ্রেফতারির পরই তাঁর সমর্থক থেকে আত্মীয় সকলেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতিকে। আনারুল হোসেনের ভাইপো দাবি করেছিলেন, 'অনুব্রত মণ্ডলই ফাঁসিয়ে দিয়েছে আনারুলকে।' যা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি অনুব্রত মণ্ডল। তবে বিরোধীরা ক্রমশ নিশানা করে চলেছে তাঁকেই। এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'তদন্তকারী সংস্থাকে বলব শুধু মার্ডারারদের ধরলে হবে না, বাইক বাহিনকে ধরলে হবে না। যারা ফোন করেছেন, তাদের ফোন কল রেকর্ড করতে হবে। অনুব্রত মণ্ডলের কল রেকর্ড আগে ধরা উচিত। তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে পুলিশমন্ত্রীর ওইদিন কতবার কথা হয়েছে সেটা দেখা উচিত।'
আরও পড়ুন- দলেই কি চাপে অনুব্রত? কুণালের খোঁচা 'উনি অনেক বড় নেতা, বেশি বোঝেন'