Rampurhat Violence : "রাত হলেই ভয় লাগছে", আতঙ্কের মধ্যেই পরীক্ষার প্রস্তুতি বগটুইয়ের একাদশ ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের
Rampurhat Violence : ৭ দিন পার । এখনও আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের বাসিন্দাদের। দিনে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভারী বুটের শব্দ।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, বগটুই : ভয়াবহ সেই ঘটনার পর কেটে গেছে এক সপ্তাহ। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রাম। আতঙ্কের ছায়ার মধ্যেই উচ্চমাধ্যমিক (HS) পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুহানা খাতুন, শিখা খাতুনের মতো পরীক্ষার্থীরা।
৭ দিন পার । এখনও আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের বাসিন্দাদের। দিনে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভারী বুটের শব্দ। রাত বাড়লেই, চাপ আতঙ্ক কুঁড়েকুঁড়ে খাচ্ছে এই মানুষগুলোকে। সব চেয়ে আতঙ্কে রয়েছে বগটুই গ্রামের একাদশ ও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা।
এই গ্রামের ১৩ জন দ্বাদশ শ্রেণির এবং ২২ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। আর ক’দিন পরই পরীক্ষা। তার আগে, ভয়-আতঙ্কে পড়ায় মন বসাতে পারছেন না তাঁদের অনেকেই। যেমন, রামপুরহাট বিদ্যাভবনের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী সুহানা খাতুন। ঘটনার পর থেকেই, বাবা ও ভাই এলাকা ছাড়া। মায়ের সঙ্গে কোনওরকমে বাড়ি আগলে পড়ে রয়েছে এই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সুহানা খাতুন বলেন, মনোনিবেশ করতে পারছি না। এখন দেখছি সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।
একই অবস্থা, সুহানার বন্ধু শিখা খাতুনেরও। তিনি বলেন, আতঙ্কে ভালভাবে পড়তে পারছি না। আগে টিউশনি পড়তাম।
আরও পড়ুন ; ‘গত সোমবার রাতে বগটুইয়ে কী হয়েছিল ?’, প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে মিহিলালের বয়ান রেকর্ড সিবিআইয়ের
আতঙ্কে রয়েছে, রামপুরহাট গার্লস হাইস্কুলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রুকসানা খাতুনও। তাঁর বক্তব্য, রাত হলেই ভয় লাগছে। পড়ায় মন বসছে না। ভয় ভয় লাগছে।
ছাত্র-ছাত্রীরা আতঙ্কে থাকায়, পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছে স্কুল। রামপুরহাট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলম বলেন, তাদের যদি আমার তরফ থেকে কোনও রকম সহযোগিতার দরকার হয়, অবশ্যই করব। ওদের যদি রাস্তাঘাটে নিরাপত্তার কোনও অভাব বোধ হয় বা আসতে অসুবিধা হয়, তাহলে তা প্রশাসনকে জানাব।
পুলিশ কনভয় দিয়ে স্কুল নিয়ে যাওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই বগটুইয়ের একাদশ ও দ্বাদশের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু, তার পরেও আতঙ্ক কাটছে না।