Dilip Ghosh Update: 'গরু-ছাগল তো নয় যে আটকে রাখব', বিধায়কদের দলবদল নিয়ে মন্তব্য দিলীপের
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, গরু-ছাগল তো নয় যে আটকে রাখব। তৃণমূল পেরেছে?
বীরভূম ও কলকাতা: গরু-ছাগল তো নয় যে আটকে রাখব। দলবদল এখন ফ্যাশন। কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গের পর এবার উত্তরবঙ্গ। ফের বিজেপিতে ভাঙন ধরল। গতকাল তৃণমূলে যোগ দিলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। দলবদল নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। গত বুধবারও বুধবারও শিলিগুড়িতে বিজেপির উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের নিয়ে সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক। কিন্তু সপ্তাহ ঘোরার আগেই বিজেপি ছাড়লেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়।সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে প্রথমবার বিজেপিতে ভাঙন ধরাল তৃণমূল।
এই নিয়ে ১ সপ্তাহে দল ছাড়লেন ৩ বিজেপি বিধায়ক।সোমবার তৃণমূলে যোগ দেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।আর এরপর গতকাল শনিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়।তৃণমূলে ফিরে সৌমেন রায় বলেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টির কালচার বাংলার সঙ্গে মেলে না, বিভাজনের রাজনীতি করছে। এ ধরনের রাজনীতি মানুষ সমর্থন করে না বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।
একুশে বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৭৭টি আসনে জয়ী হয়। কিন্তু, ভোটের ফল প্রকাশের পর, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। ফলে, বিজেপির বিধায়ক পদ কমে দাঁড়ায় ৭৫।এরপর তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা আরও কমে হয় ৭৪। তন্ময় ঘোষ ও বিশ্বজিত্ দাসের তৃণমূলে যোগদানের পর, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে হয় ৭২। এবার, সৌমেন রায়ের দলবদলের জেরে সেই সংখ্যা কমে হল ৭১।
কালিয়াগঞ্জের বিধায়কের দলবদল সম্পর্কে বীরভূমের সিউড়িতে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছন, তৃণমূল থেকে এসেছিলেন। বিজেপির টিকিট নিয়ে জিতেছিলেন। এখন আবার তৃণমূলে চলে গিয়েছে। দলের কয়েকজন বিধায়কের দলবদল সম্পর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছেন, কারুর ব্যবসা আছে। অন্য কোনও লাভের ব্যাপার রয়েছে। তাই তাঁরা চলে যাচ্ছেন।
আর কোনও বিধায়ক এভাবে দল বদল করতে পারেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ, কে যাবেন,কে যাবেন না, নিশ্চিত করে বলা যায় না। মুকুলবাবুর মতো নেতা যখন যেতে পারেন, তখন যে কেউ যেতে পারেন। দলবদল এখন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতেই লাভ, ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বিধায়কদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে, বৈঠক হয়েছে। প্রথম থেকেই পাঁচ-ছয় জনের সমস্যা ছিল। তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিল, কিন্তু তাঁদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেজন্যই দল ছেড়েছেন।
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, গরু-ছাগল তো নয় যে আটকে রাখব। তৃণমূল পেরেছে? এতে লোভ দিয়ে, সিন্ডিকেট দিয়ে টাকা কামানোর ব্যবস্থা করেও তো পারেনি। ডজন ডজন লোক পালিয়ে গিয়েছেন বিধায়ক, সাংসদ।
Dilip Ghosh: 'গরু-ছাগল তো নয় যে আটকে রাখব', কালিয়াগঞ্জের BJP বিধায়কের TMC যোগ নিয়ে দিলীপ