Biswanath Bose Heckled : 'জুতো পরে নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান', ভুল শিকার করেও 'হেনস্থার শিকার' অভিনেতা
Paschim Medinipur News : গ্রামবাসীদের রোষ, উন্মত্ত জনতার তাড়া খাওয়া ও তারপর গাড়ি ভাঙচুরের মতো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল অভিনেতাকে।

অমিত জানা , পশ্চিম মেদিনীপুর : বিপাকে বিশ্বনাথ বসু। পশ্চিম মেদিনীপুরে গিয়ে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে এমন ভাবে স্থানীয়দের রোষে পড়লেন, কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচলেন এলাকা থেকে। অভিনেতার অভিযোগ, ক্লাবের অনুষ্ঠানে গিয়ে রীতিমতো হেনস্থার শিকার হতে হল অভিনেতা বিশ্বনাথ বসুকে। গ্রামবাসীদের রোষ, উন্মত্ত জনতার তাড়া খাওয়া ও তারপর গাড়ি ভাঙচুরের মতো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল অভিনেতাকে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের মূর্তিতে মাল্যদান বিতর্ক:
অভিনেতার গাড়ি ধাওয়া করে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনেতা। কিন্তু কী কারণে বিশ্বনাথের উপর এত চটে গেলেন জনতা। অভিনেতার দাবি, বেলদার নেতাজি তরুণ সঙ্ঘ ক্লাবের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শনিবার তিনি অনুষ্ঠান করতে যান। সেখানে তাঁকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের মূর্তিতে মাল্যদান করতে বলা হয়। ভুলক্রমে তিনি জুতো পরেই নেতাজির মূর্তিতে মালা দিতে যান। বিশ্বনাথের দাবি, তিনি এর জন্য সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চান। তারপর তিনি মঞ্চে উঠে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মরণে কিছু কথাও বলেন, তাঁর উদ্দেশে শ্রদ্ধাও জানান। তারপর অনুষ্ঠান করেন ১ থেকে দেড় ঘণ্টা। অনুষ্ঠান বেশ ভাল হয় বলেই দাবি তাঁর। তারপর তিনি মঞ্চ থেকে নামতেই ক্লাবের সম্পাদক ও আরও কিছু লোকজন তাঁকে এসে ফের জুতো খুলে মালা দিতে বলেন। তিনি জানান, তিনি ইতিমধ্যেই ভুল স্বীকার করেছেন। তারপরই চড়াও হয় তারা। বিশ্বনাথের অভিযোগ, মারমুখী হয়ে ওঠে তারা। অভিনেতার ড্রাইভার ও দেহরক্ষীর গায়ে হাতও তোলা হয়। এই নিয়ে শুরু হয় জলঘোলা।
জনরোষ :
অভিযোগ, উত্তেজনা বেশি ছড়াতেই গাড়ি নিয়ে চলে আসার চেষ্টা করেন বিশ্বনাথ। তখনই অভিনেতার গাড়ি ধাওয়া করে জনতা। তাঁর গাড়িটি ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি । গোটা ঘটনায় 'আতঙ্কিত' অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু।
সত্যিই কি প্রিয় অভিনেতার উপর এভাবেই চড়াও হয়েছিল জনতা ? তরুণ সংঘ ক্লাবের সহ-সম্পাদক পল্লব মাইতির দাবি, বিশ্বনাথ বসু নিজেই বলেছিলেন, অনুষ্ঠান শেষে তিনি জুতো খুলে আবার নেতাজি মূর্তিতে মালা দেবেন। তা তিনি করেননি, ফলে জনগণ ক্ষেপে যায়। তবে এসবের মাঝে ক্লাবের লোকজনই দায়িত্ব নিয়ে ব্যারিকেড করে তাঁর গাড়ি বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। এখন পুলিশ অভিনেতার অভিযোগের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই দেখার।
গত বছর একটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছিল বিশ্বনাথ বসুর ছোট ছেলেকে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়েছিল সেই খবর। ছোট ছেলে 'না বুঝে' প্রতিবেশীর বাড়ির পাশের নালায় প্রস্রাব করায় তাকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়। অশ্রাব্য গালিগালাজও করেছিলেন প্রতিবেশী। সেই ট্রমা বহুদিন ছাড়েনি তাঁকে। গড়ফা থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করেন বিশ্বনাথ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
