Arjun Singh : 'পশ্চিমবঙ্গে অত্য়াচারী দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে উপড়ে ফেলার জন্য়...', অর্জুন-মন্তব্যে একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের TMC-র
TMC News: অর্জুন সিংহের এই মন্তব্য়ের প্রতিবাদে, ব্যারাকপুর কমিশনারেটের একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।

সমীরণ পাল, শিবাশিস মৌলিক ও রুমা পাল, কলকাতা : দুই দিনের আন্দোলন আস্ত একটা সরকারকে উপড়ে ফেলে দিয়েছে। নেপালের সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গেও, ওপারের আন্দোলনের রেশ এসে পড়েছে। সৌজন্য়ে ব্য়ারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ ও বিজেপি নেতা অর্জুন সিং।
তিনি বলেছেন, "কবে জাগ্রত হবে এই পশ্চিমবাংলার অত্য়াচারী দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে উপড়ে ফেলার জন্য় এটাই অপেক্ষায় আছি আমরা। বিনা রক্ত ঝরিয়ে কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসক, কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসন ব্য়বস্থা শেষ হয় না। বাংলায় যে যুবসমাজ যারা আজকে তাকিয়ে আছে, চাকরি নেই, চাকরি চলে যাচ্ছে, তারা একটু নেপাল থেকে শিক্ষা নিক। বাংলায় দরকার আছে।"
অর্জুন সিংহের এই মন্তব্য়ের প্রতিবাদে, ব্যারাকপুর কমিশনারেটের একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। ভাটপাড়া থেকে জগদ্দল, নৈহাটি থেকে টিটাগড়, থানায় থানায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, "অর্জুন সিংহ যে কতটা অশিক্ষিত, সেটা বোঝা যায়, ওর পড়াশোনা কতটা কম, যে, নেপাল একটা রাষ্ট্র, বাংলাদেশ একটা রাষ্ট্র। পশ্চিমবাংলা কিন্তু একটা রাজ্য়। মমতা ব্য়ানার্জির যদি কিছু হয়, তাহলে অর্জুন সিংহকে অনুরোধ করব, বিদেশের কোনও একটা জায়গা দেখে রাখতে। মমতা ব্য়ানার্জির কিছু হলে তৃণমূলের ছেলেরা, বাংলার মানুষ ছেড়ে দেবে না।"
দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে নেপাল যখন উত্তাল, তখন অত্য়ন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ এই পোস্ট করেন তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীর। ফেসবুকে তিনি লেখেন, কবে যে আমাদের দেশের তানাশাহীদের একই হাল হবে ! আর দুর্নীতির শিরোমণিদের মুখোশ আর ফাইল খুলে যাবে। আর কবে? আর কবে? আপনারাও কি আমার মতো স্বপ্ন দেখেন ?
বিতর্ক শুরু হতেই পোস্টের ব্যাখ্যা দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর লেখেন, আমি সমগ্র দেশের কথা বলতে চেয়েছি। যারা বিভাজনকারী, ডিক্টেটর আর দুর্নীতিগ্রস্ত তাদের কথা বলতে চেয়েছি। কোন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়। প্লিজ কোনও দলকে জুড়বেন না।
এনিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বলে দিয়েছেন, সেখানে আমাদের অন্য কোনও জনপ্রতিনিধি যদি এ কথা বলেন তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। ব্যক্তিগত মতামত নিয়ে দলীয় প্ল্যাটফর্মে কথা বলতে আমরা রাজি নই।"
সিপিএম নেতা কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সমস্যা হচ্ছে প্যারা টিচারদের মাইনে বাড়ছে না। মিড ডে মিলের কর্মীদের মাইনে বাড়ছে না। চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। এইটা এজেন্ডা হওয়া উচিত।" সব মিলিয়ে গণ্ডকী নদীর পারের উত্তাপ এখন গঙ্গা পাড়েও।























