Suvendu On Mamata: কলকাতায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল, 'লজ্জা নেই, মিরিকে মৃত্যুমিছিল..', মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর
Suvendu Attacks Mamata: উত্তরবঙ্গে ভয়ঙ্কর দুর্যোগ, বহু মৃত্যু, কলকাতায় হয়ে যাওয়া দুর্গাপুজোর কার্নিভাল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা, কী বললেন শুভেন্দু ?

দীপক ঘোষ, শিবাশিস মৌলিক ও সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: উত্তরবঙ্গে ভয়ঙ্কর দুর্যোগ! এখনও পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় রবিবার কলকাতায় হয়ে গেল দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। যা নিয়ে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। উত্তর দিয়েছে তৃণমূলও। কাল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
টানা বৃষ্টি! ফুঁসছে একাধিক পাহাড়ি নদী! সঙ্গে ধস!ভেসে গেছে একের পর এক এলাকা!উৎসবের আবহে উত্তরবঙ্গে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়!মৃত্যু!বহু মানুষের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না!রাজ্যের উত্তরে যখন ভয়ঙ্কর দুর্যোগের ছবি, তখন রবিবার দক্ষিণে হল দুর্গাপুজোর কার্নিভাল।উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন , মা দুর্গা দুর্গা স্যালুট করতে করতে চলে যাবেন, আজকে কি এটা দিন? আজকে কার্নিভালের প্রয়োজন ছিল না। এই বিপর্যয়ের আবহে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যে একা নাড়ির যোগ আছে, অন্তত সেটা উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে বার্তা দেওয়ার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর আজকে এই কার্নিভালকে কিছুটা হলেও স্থগিত রেখে তিনি আজকে উত্তরবঙ্গে যেতে পারতেন, কিন্তু তিনি গেলেন না, কাল যাচ্ছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, উত্তরবঙ্গে যে বিপর্যয়, তারজন্য যা যা করার করনীয় সেটা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, তার সমস্তরকমভাবে বৈঠক করা, মনিটর করা, তিনি নিজে কাল যাচ্ছেন। আবার এই কার্নিভালটা একটা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। এটা কিন্তু শুধুমাত্র একটা নিছক আনন্দের নয়। দেশি-বিদেশি নানা দর্শকরা আছেন এবং এই কার্নিভালটাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা হয়। এটা ওইভাবে এই বন্ধনীতে ওটা যেতে পারে না। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন,আমি সর্বক্ষণ সকলের সঙ্গে যোগাযোগে আছি এবং এই সূত্রে আগামীকাল (সোমবার) নিজেই মুখ্যসচিবকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ যাচ্ছি।
অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী X হ্যান্ডেলে পাল্টা কটাক্ষ করে লিখেছেন, উত্তরবঙ্গ কাল যাব, আজ কার্নিভাল। কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য! আবার অন্য একটা অংশে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গে যেতে আগ্রহী নন কেন, সেখানে DVC নামক বলির পাঁঠা নেই দোষারোপ করার জন্যে!ওঁর একটাই উদ্দেশ্য, কী করে অন্যের ঘাড়ে ধোষ চাপানো যায়! কখনও DVC, কখনও CESC, কখনও উত্তরপ্রদেশ-বিহার..। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, লজ্জা নেই। ২১ জন মারা গেছে এখনও পর্যন্ত। মিরিকে মৃত্য়ুমিছিল। আর সরকারি টাকায় এই জিনিস হচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী গতকাল থেকে নজরদারি করেছেন। মোদির রাজ্যে যখন দুর্ঘটনা হয়, তখন কী হয়...। পরস্পরের এই চাপানউতোরের মধ্যে দলের কর্মী সমর্থকদের দুর্গত মানুষদের উদ্ধারকাজ ও ত্রাণবণ্টনে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছে দু'পক্ষই! তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, আমি তৃণমূলের প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবককে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছে সমবেদনা ও অঙ্গীকারের সঙ্গে তাঁদের সমর্থন ও সাহায্য করার আবেদন জানাচ্ছি। সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং মা দুর্গার আশীর্বাদে আমরা একসঙ্গে এই প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠব।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কাল উত্তরবঙ্গে যাচ্ছি, সমর্থকদের নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ব। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও সমবেদনা জানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিতে ত্রাণ ও NDRF-এর অতিরিক্ত দল পাঠাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি। কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে যথাসম্ভব সাহায্য করতে হবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন, ২০ জনের বেশি মানুষ মৃত্যুর কবলে ভয়াবহ বন্যায়, তখন কলকাতায় কার্নিভাল হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতায় না থেকে উত্তরবঙ্গে চলে যাওয়া উচিত ছিল। উত্তরকন্যায় থেকে তত্তাবধান করতে পারতেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমাদের রাজ্য থেকে যারা আছেন, তারা কাল যাবেন। আজ কেন নয়? জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে কেন ঘোষণা নয়?।'সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটির তরফে বিবৃতি দিয়ে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দ্রুত একে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘোষণা করে পর্যাপ্ত ত্রাণ ও আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।






















