Suvendu Adhikari: 'ভোর হল দোর খোল, SSC-র কর্তারা এবার জাগো রে', SSC-কে কটাক্ষ করে পোস্ট শুভেন্দুর
SSC Case: গতকাল রাতটা রাজপথেই খোলা আকাশের নীচে কেটেছে আন্দোলনকারীদের। আজও সেই আন্দোলন জারি আছে।

কলকাতা : সল্টলেকে আচার্য সদনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অন্যদিকে, করুণাময়ীতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে চলছে চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীদের অবস্থান-বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে কটাক্ষ করে পোস্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতা লিখলেন, "ভোর হল দোর খোল, SSC-র কর্তারা এবার জাগো রে/ চাকরিহারা যোদ্ধারা রাস্তায় বসে সারা রাত, যোগ্য-অযোগ্যদের মধ্যে করো এবার তফাত/ শিক্ষার অপমৃত্যু দেখে আজ আতঙ্কিত সমাজ, যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করাই হবে ন্যায্য কাজ।" এক্স হ্যান্ডলে এমনই পোস্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
ভোর হলো দোর খোলো,
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) April 22, 2025
এসএসসি-র কর্তারা এবার জাগো রে,
চাকরিহারা যোদ্ধারা রাস্তায় বসে সারা রাত,
যোগ্য-অযোগ্যদের মধ্যে করো এবার তফাৎ,
শিক্ষার অপমৃত্যু দেখে আজ আতঙ্কিত সমাজ,
যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করাই হবে ন্যায্য কাজ।
গতকাল রাতটা রাজপথেই খোলা আকাশের নীচে কেটেছে আন্দোলনকারীদের। আজও সেই আন্দোলন জারি আছে। সল্টলেকে আচার্য সদনের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বেলা যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। রাতভর দফতরেই আটকে SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার-সহ আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, করুণাময়ীতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে চলছে চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীদের অবস্থান-বিক্ষোভ। চাকরি ফেরতের দাবিতে গতকাল সন্ধে ৭টা থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৮ জন অশিক্ষক কর্মী। বাইরে অবস্থান করছেন চাকরিহারা গ্রুপ C, গ্রুপ D কর্মীরা।
চাকরিহারাদের অভিযোগ, অযোগ্যদের বাঁচানোর চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। যোগ্যদের বেতন দেওয়ার কথা বললে কেন তালিকা প্রকাশ নয় ? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও, যোগ্য়দের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। প্রতিবাদে গতকাল SSC ভবনের সামনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এরপর রাতে সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন চাকরিহারারা। সেই থেকে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিহারারা।
এই পরিস্থিতিতে SSC চেয়ারম্যানও বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, 'যারা ক্লাস নিচ্ছেন, সেই শিক্ষকদের নিয়ম অনুযায়ী বেতন পাবেন'। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই চলবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। চাকরিহারাদের বিক্ষোভের মধ্যেই মধ্যরাতে এই বিবৃতি দেয় কমিশন।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে যারপরনায় ক্ষুব্ধ চাকরিহারারা। এক ক্ষুব্ধ চাকরিহারা বলেন, "উনি প্রতারণা করলেন কেন ? উনি তো বলেছিলেন, যোগ্য-অযোগ্য তালিকা দেবেন। কাউন্সেলিংয়ের ভিত্তিতে তিনি কেন এই বিভাজনটা করতে চাইলেন ? ১২১২ আর ৪০৯১... ইললিগ্যাল...তাঁদের সংখ্যাটা প্রকাশ না করে কাউন্সেলিংয়ের ভিত্তিতে তিনি কেন যোগ্য-অযোগ্য বিভাজনটা করতে চাইলেন ? আমাদের সন্তানরা কী খাবে ? কোনও ঠিক নেই। আমাদের পরিবারের মুখে কীভাবে অন্ন তুলে দেব ?"






















