Suvendu Adhikari: ‘নো ভোট টু বিজেপি বলে এই দিন দেখতে হল’! অধীরকে নিশানা শুভেন্দুর
Adhir Ranjan Chowdhury: কৌস্তভের গ্রেফতারিতে উত্তাল হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। গ্রেফতারি থেকে জামিন, এই পর্ব পেরিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে কংগ্রেস, সিপিএম দুই দলই।
মহিষাদল: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে কংগ্রেস। তার পর থেকে গত দু'দিন থেকে খবরের শিরোনামে তারা। কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি তাতে অন্যমাত্রা যোগ করেছে। কৌস্তভের গ্রেফতারিতে রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দিলেও, এ বার বাম-কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে 'নো ভোট টু বিজেপি' স্লোগান বাম-কংগ্রেসকে স্মরণ করিয়ে দিলেন তিনি।
কৌস্তভের গ্রেফতারিতে উত্তাল হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। গ্রেফতারি থেকে জামিন, এই পর্ব পেরিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে কংগ্রেস, সিপিএম দুই দলই। সেই আবহেই পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের সভা থেকে তাদের কটাক্ষ ছুড়ে দেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, "মীনাক্ষী, কৌস্তভকে এখন জেলে ভরছে। তখন সিপিএম, কংগ্রেস বলেছিল নো ভোট টু বিজেপি। সেই সময় নো ভোট টু তৃণমূল বললে আজ এই দিন দেখতে হতো না।"
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম-কংগ্রেস জোটকে 'অনৈতিক' বলার পাশাপাশি, বিজেপি-র সমর্থনও কংগ্রেসকে নিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। কেন্দ্রে যেখানে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই, সেখানে রাজ্যে বিজেপি-র সঙ্গে ভোট আদানপ্রদানের পর বাম-কংগ্রেসের নিজেদের বিরোধী বলা সাজে না বলেও মন্তব্য করেন।
আর সেই আক্রমণ শানাতে গিয়েই অধীরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মন্তব্য করে বসেন মমতা। তাতেই বঙ্গ রাজনীতিতে ঝাঁঝ বেড়ে যায় আকলাফে বহুগুণ। মমতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন কৌস্তভ। তাঁকে নিয়ে লেখা বইও তুলে ধরেন। এর পরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অধীর যদিও ব্যক্তিগত আক্রমণের পরও যথেষ্ট সংযত ছিলেন।
এ দিন অধীরকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। তাঁর কথায়, "নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী হারিয়েছিল মমতাকে। ভবানীপুরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ভবানীপুরে অধীর চৌধুরী কংগ্রেসের প্রার্থী দিলেন না। আজ সেই অধীর চৌধুরীকেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন।" "মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সব থেকে বড় গদ্দার", বলেও এ দিন মন্তব্য করেন শুভেন্দু।
রবিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধেও সরব হন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, বিনামূল্যে সরকারি বাংলো নেওয়ার পরেও হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স বাবদ ১৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন মুখ্যসচিব। হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে আইএএস (এইচআরএ) আইন ভঙ্গের
অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গ্রহণ করায় সিভিসি-কে ট্যুইটারে ধন্যবাদও জানান।
এই নিয়ে মুখ্যসচিবের প্রতিক্রিয়া মেলেনি যদিও। তবে তাঁঁর হয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর বক্তব্য, "আগেও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন এবং সেগুলি অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে।"