Birbhum Violence: অনুরোধ করব, মুখটা আগে ব্লিচিং, ফিনাইল দিয়ে পরিষ্কার করুন, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুভেন্দুর
Rampurhat violence: কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক টিম আসার আগে রাজ্য ফরেন্সিকের টিমকে দিয়ে তথ্য লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে। রামপুরহাটে গিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা ও রামপুরহাট: মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তিনি বগটুই যাবেন। তিনি বিরোধীদের কটাক্ষ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজই যেতাম। কিন্তু কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ঢুকছেন ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে। তাই রাত্রি হয়ে যাবে। ওরা থাকাকালীন আমি যাব না। আমি কাল রামপুরহাট যাব।’
পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছেন, ‘ওনাকে আমি অনুরোধ করব, মুখটা আগে ব্লিচিং ফিনাইল দিয়ে পরিষ্কার করুন। এক সপ্তাহে ২৬ জনকে খুন করার পরে কদর্য ভাষায় বলছেন, ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে রামপুরহাট। উনি তো আসবেন হেলিকপ্টারে। উনি তো রাস্তা দিয়ে আসেন না। রাস্তার অবস্থাটা জানেন! একটা লোক যদি কলকাতা থেকে রামপুরহাট পৌঁছতে চান, সকাল সাতটার সময় বেরিয়ে এখানে পৌঁছনো তিনটের সময়। তিনি যদি রাস্তায় কোথাও দাঁড়িয়ে এক কাপ চা, জল খান, তাঁকে বলবেন ল্যাংচা খেয়ে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে যাচ্ছে? এটা মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা! উনি যাচ্ছেন তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে।’
চক্রান্তের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর
বিরোধী দলগুলি যখন বগটুইয়ের ঘটনার প্রতিবাদে সরব, তখন চক্রান্তের অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘কালও দেখলেন পেট্রোল-ডিজেল, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এগুলি যাতে বলতে না পারে, তাই হট করে একটা ঘটনা ঘটিয়ে দিচ্ছে। আমাদের সরকার, আমরা কখনও চাই রক্ত ঝড়ুক, কেউ খুন হোক, কেউ কাউকে বোম মারুক। কারা করে, যারা সরকারে থাকে না, সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করার জন্য এই চক্রান্ত করে, যাতে আমাদের বদনাম হয়। আসলে দাঙ্গা করতে পারছে না। লোকে খেতে পারছে না, তাও বলতে পারছে না। মেয়েরা পড়াশুনা করতে পারছে না, এ কথা বলতে পারছে না। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না, এ কথা বলতে পারছে না। তাই দেশলাই জ্বালানো খুব সহজ, তাই না।’
গণহত্যার তদন্ত করবে সিবিআই, দাবি বিরোধী দলনেতার
মুখ্যমন্ত্রীর চক্রান্তের অভিযোগের পাল্টা বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ‘তৃণমূলের লোক হত্যা করিয়েছে। এদের দিয়ে ভোট লুঠ করিয়েছিল, তাই পুলিশ এদের কিছু বলেনি। বিস্ফোরণের তদন্ত করবে এনআইএ। গণহত্যার তদন্ত করবে সিবিআই।’