Abhijit Ganguly: লোকসভার শপথে তৃণমূলের মুখে 'জয় বাংলা', কনজাঙ্কটিভাইটিস বলে কটাক্ষ অভিজিতের
Abhijit on TMC: মঙ্গলবার ১৮তম লোকসভায় শপথ নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, দেব, মালা রায়রা।
কলকাতা: বিচারপতির আসনে আসীন থাকাকালীনই তাঁর বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দেখা গিয়েছিল। রাজনীতিতে পদার্পণের পরও বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি, অধুনা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একবার ফের খবরের শিরোনামে তিনি। সংসদে শপথ নেওয়া তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে শ্লেষ দাগলেন তিনি। (Abhijit Ganguly) সংসদের বাইরে দাঁড়িয়েই তৃণমূল সাংসদদের নিশানা করলেন অভিজিৎ।
মঙ্গলবার ১৮তম লোকসভায় শপথ নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, দেব, মালা রায়রা। শপথবাক্য পাঠের পর ধনবাদ জানাতে গিয়ে দল এবং দলনেত্রীকে স্মরণ করেন কেউ কেউ। শপথবাক্য শেষ করেন 'জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে। সেই নিয়েই তৃণমূল সাংসদদের তীব্র কটাক্ষ করেছেন অভিজিৎ। (Abhijit on TMC)
সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে এ নিয়ে মুখ খোলেন অভিজিৎ। সেই সময় তাঁর পাশে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী-সহ অন্যরা। সেখানে অভিজিৎ বলেন, "জয় বাংলা একটা অসুখের নাম জানেন তো! কনজাঙ্কটিভাইটিস। আমরা যখন ছোট ছিলাম, '৭১ সালে বহু লোকের কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়েছিল। তখনই জয় বাংলা নামটি তৈরি। কারও চোখ দিয়ে জল পড়ার সময় হয়েছে হয়ত!"
রাজ্যে বিজেপি-র বিরুদ্ধেই 'জয় বাংলা' স্লোগানের সূচনা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'জয় শ্রীরাম', 'ভারত মাতা কি জয়' বলা এবং বলানো নিয়ে যখন বিতর্ক বাধে, সেই সময় বাংলা এবং বাংলার মানুষকে সামনে রেখে তিনি নয়া স্লোগান বাঁধেন। বহিরাগত বলে বিজেপি-কে দাগিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও তৃণমূলের হাতিয়ার হয়েছে ওই স্লোগান। নির্বাচনী প্রচারে এর ব্যবহারও চোখে পড়েছে।
সেই থেকে সরকারি অনুষ্ঠান হোক বা দলের মিটিং-মিছিল, তৃণমূল নেতাদের মুখে 'জয় বাংলা' স্লোগান শোনা গিয়েছে বার বার। মঙ্গলবার সংসদেও তার অন্যথা হয়নি। শপথবাক্য পাঠের পর দলের সাংসদরা বাংলার নামে জয়ধ্বনি দিতে 'জয় বাংলা' স্লোগান তোলেন। আর সেই নিয়েই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন অভিজিৎ। কনজাঙ্কটিভাইটিসের সঙ্গে স্লোগানের তুলনা করার পাশাপাশি, কারও চোখের জল ফেলার সময় এসেছে বলে যে মন্তব্য করেন তিনি, তাও ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও পর্যন্ত। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিজিতের সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ।