SIR News: 'যদি কেউ মরতে না চান, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসুন', 'সন্দেহের' ২২০৮ বুথ নিয়ে খোঁচা BJP সাংসদের
SIR Forms: এই ২২০৮টি বুথে কোনও আন-কালেক্টবল ফর্ম নেই। মানে, যতগুলো ফর্ম হয়েছিল, সব ফিরে এসেছে। ডিজিটাইজড হয়ে এসেছে।

কলকাতা : রাজ্যের ২২০৮টি বুথে কোনও 'আন-কালেক্টবল' ফর্ম নেই। মানে, মৃত ভোটার নেই, ডুপ্লিকেট ভোটার নেই, ট্রান্সফারড কোনও ভোটার নেই (অর্থাৎ, কেউ শিফট হননি)। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই তথ্য এসে পৌঁছেছে। আর এ বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিলেন বিজেপি নেতারা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, "আমি শুধু একটা কথাই বলব, যদি কেউ মরতে না চান, যদি সারাজীবন বেঁচে থাকতে চান, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসুন। নিশ্চিতভাবে বেঁচে থাকবেন। ২০০০-এর উপর বুথে কোনও মৃত্যু হয়নি, কেউ অন্য কোথাও যায়নি, এটাই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। অদ্ভুত এক ভূতুড়ে জায়গা। আর জেলা প্রশাসন হচ্ছে গেছো ভূত।"
অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "এটা আমাদের পিসি সরকারের ম্যাজিক। আমাদের যে পিসির সরকার...অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ওই সমস্ত এলাকায় কেউ মারা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষকে বলব ওই এলাকাতেই, সবাই নিজের নিজের জেলায় যে বুথে কেউ মারা যায়নি, সেই বুথে ভোটার তালিকায় নাম লেখান। যাতে কেউ মারা না যান। ওখানে গেলে আপনারা অমরত্ব লাভ করবেন।"
যদিও এনিয়ে পাল্টা তৃণমূলের তরফে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, "এগুলো ওদের বাহানা। জানে ওখানে হেরে যাবে...সব জায়গায় বাংলায় হারবে। এগুলো নিয়ে বাহানা করছে।"
বিস্তারিত...
এই ২২০৮টি বুথে কোনও আন-কালেক্টবল ফর্ম নেই। মানে, যতগুলো ফর্ম হয়েছিল, সব ফিরে এসেছে। ডিজিটাইজড হয়ে এসেছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কী করে সম্ভব ? ২০২৫-এ যে SIR হচ্ছে এবং ভোটার লিস্ট হচ্ছে, সেখানে কোনও মৃত ভোটার নেই ? এই পরিস্থিতিতে ২২০৮টি বুথে বিশেষ নজর দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। গতকালই, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সংশ্লিষ্ট যেসব জেলাশাসক রয়েছেন, অর্থাৎ জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। ২২০৮টি বুথে কী করে সম্ভব হল আন-কালেক্টবল ফর্ম নেই। তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এখানকার ৭৬০টি বুথে আন-কালেক্টবল ফর্ম নেই বলে তথ্য এসেছে। কী করে তা সম্ভব, সেই প্রশ্ন উঠছে। এরপরেই নাম রয়েছে পুরুলিয়ার। পুরুলিয়ার ২২৮টি বুথে এরকম রয়েছে। মুর্শিদাবাদে ২২৬টি বুথ, মালদায় ২১৬টি বুথ, নদিয়ায় ১৩০টি বুথ, বাঁকুড়ায় ১০১টি বুথ, হাওড়ায় ৯৪টি বুথ, পূর্ব মেদিনীপুরে ৯০টি বুথ, বীরভূমে ৮৬টি বুথ, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮২টি বুথ, জলপাইগুড়িতে ৫৬টি বুথ, হুগলিতে ৫৪টি বুথ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৪০টি বুথ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৫টি বুথ, উত্তর দিনাজপুরে ১১টি বুথ, পূর্ব বর্ধমানে ৯টি বুথ, ৩টি বুথ আলিপুরদুয়ারে, কোচবিহারে ২টি বুথ, দার্জিলিঙেও ২টি বুথ রয়েছে, ১টি করে বুথ রয়েছে কালিম্পং এবং উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমানেও ১টি বুথ।























