JP Nadda: ‘তৃণমূল মানে শুধু খাও খাও’, কাটমানি নিয়ে জোড়াফুলকে আক্রমণ নাড্ডার
JP Nadda in WB: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার বকেয়া না মেটানোর, বাংলার সঙ্গে বঞ্চনার অভিযোগ তুলতে শোনা গিয়েছে মমতাকে। কিন্তু তাঁর সরকারই কোনও হিসেব দেয় না বলে পাল্টা আক্রমণ নাড্ডার।
দীপক ঘোষ, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বঙ্গ সফরে এসে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগে সরব হলেন বিজেপি-র (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। তাঁর অভিযোগ, বাংলাার সরকার বার বার কেন্দ্রীয় সরকার বকেয়া মেটায়নি বলে দাবি করলেও, নিজেরা কোনও হিসেব দেয় না। তার পাল্টা বিজেপি-কে কড়া জবাব দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
বঙ্গসফরে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ নাড্ডার
দু’দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন নাড্ডা। মঙ্গলবার রাতেই কলকাতায় পা রাখেন তিনি। তার পর বুধবার সফরের সূচনা পর্বেই রাজ্য সরকারকে কড়া আক্রমণ করেন তিনি। বলেন ‘‘তৃণমূল মানে শুধু খাও খাও।’’ এ দিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের কাটমানি এবং কমিশন খাওয়ার অভিযোগেও সরব হন নাড্ডা। বলেন, ‘‘তৃণমূলে নেতা আছে, নীতি নেই। তৃণমূল মানেই সিন্ডিকেট। তৃণমূলের মিশন হল কমিশন।’’
একযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Abhishek Banerjee) তীব্র আক্রমণ করেন নাড্ডা। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলায় তৃণমূল (TMC) পিসি-ভাইপোর দলে পরিণত হয়েছে।’’
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার বকেয়া না মেটানোর, বাংলার সঙ্গে বঞ্চনার অভিযোগ তুলতে শোনা গিয়েছে মমতাকে। ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে পেট্রোল-ডিজেলের শুল্ক, বরাবর কড়া আক্রমণ করে গিয়েছেন তিনি। মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘১০০ দিনের কাজের টাকা ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্র দিচ্ছে না। সেন্ট্রালের নোংরা খেলা, পলিটিকাল ডার্টি গেম চলছে। ৫ মাস ধরে টাকা দিচ্ছে না। কাজ করেছে কিন্তু টাকা পাচ্ছে না। ৬ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে।’’
তার প্রেক্ষিতে এ দিন নাড্ডা বলেন, ‘‘মনরেগার টাকা নিয়ে বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে। ৩ বছর ধরে হিসেব দেয়নি রাজ্য সরকার। এটা কেমন রাজ্য, যে হিসেবই দেয় না! মমতা কি তিন বছর ধরে হিসেব দিতে ভুলে গেছেন? মোদিজি টাকা দিতে চান, কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা আগে কাটমানি খান।’’
নাড্ডার সফরে কি চাঙ্গা হবে বিজেপি!
বিধানসভা নির্বাচন, বিধানসভা ও লোকসভা উপনির্বাচন, কলকাতা-সহ শতাধিক পুরসভার নির্বাচনে, লাগাতার পরাজয়ের পর পরাজয় দেখেছে বিজেপি। কোথাও কোথাও সিপিএম-এর থেকেও পিছিয়ে গিয়েছে তারা। আবার দলের অন্দরেও ঝামেলা দেখা দিয়েছে। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকায় সরব হয়েছেন নেতা-কর্মীরা। সেই প্রেক্ষাপটেই বাংলায় সফরে এলেন নাড্ডা। কিন্তু নাড্ডার সফরে কি উজ্জীবিত হবে বঙ্গ বিজেপি? উত্তর দেবে সময়ই।