BJP On SIR Death : 'শ্মশানে, হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে তৃণমূল', 'SIR-আতঙ্কে' মৃত্যুর দাবি নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির
বীরভূমে মৃত্যুর পিছনে দায়ী করা হল সেই ভোটার তালিকার নিবিড় পর্যবেক্ষণকেই। আর এই আবহে তৃণমূলকেই পাল্টা কটাক্ষ করল বিজেপি।

কোথাও রাজ্যে SIR আবহে NRC আতঙ্কে আত্মহত্যার অভিযোগ।কোথাও অভিযোগ SIR আতঙ্কে ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যুর। গত কয়েকদিনে রাজ্যের দিকে দিকে এমন বহু মৃত্যুর পিছনে SIR আতঙ্ককে দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাড়ির লোকের তরফেও অনেক সময় SIR আতঙ্কের কথা বলা হয়েছে। পানিহাটি, ইলামবাজার, টিটাগড়, পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের পর বীরভূম। মৃত্যুর পিছনে দায়ী করা হল সেই ভোটার তালিকার নিবিড় পর্যবেক্ষণকেই। আর এই আবহে তৃণমূলকেই পাল্টা কটাক্ষ করল বিজেপি।
SIR-আতঙ্কে ফের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল বীরভূমে। ইলামবাজারের পর এবার ঘটনাস্থল সাঁইথিয়া। ক্ষিতীশ মজুমদারের পর এবার বিমান প্রামাণিক। SIR-আতঙ্কে ফের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল।
মৃতের নাম বিমান প্রামাণিক । বয়স ৫২। বাড়ি সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। বুধবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। পরিবার সূত্রে খবর, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়, বিমানের পদবী 'প্রামাণিকের' বদলে 'পাল' লেখা ছিল। এই ঘটনা চোখে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। সেই আতঙ্কেই বুধবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকদিন হল, খাওয়া-দাওয়াও কমে গিয়েছিল তাঁর। আতঙ্কে ভুগছিলেন। এই আবহে সাঁইথিয়া বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নীলাবতী সাহার দাবি, SIR-আতঙ্কেই মৃত্যু হয়েছে বিমানের। পাল্টা বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি দীপক দাসের কটাক্ষ, শ্মশানে, হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে তৃণমূল। কেউ মারা গেলেই, তাঁর নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে SIR-এর সঙ্গে।
এদিনই SIR-আবহে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে এক শিক্ষককের মৃত্যু হয়। ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় SIR নিয়ে দুশ্চিন্তায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে, তাঁর পরিবার ও তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যে একমাত্র কুলপিতেই ২০০৩ সালের ভোটার তালিকা ধরে হচ্ছে SIR । পরিবারের সূত্রে খবর, ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় শাবাবুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল না। তাই SIR নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলেন শাহাবুদ্দিন। কেউ মারা গেলেই SIR আতঙ্ক জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।
এর আগে SIR আতঙ্কে এবার বহরমপুরে হকারের আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরিবারের দাবি, ২০০২-এর ভোটার তালিকায় তারক সাহার নাম ছিল না। তাই তিনি চাপে ছিলেন। তৃণমূলের দাবি, SIR আতঙ্কের বলি হয়েছেন ওই হকার। যদিও, এনিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।























