BJP Nabanna March: 'নবান্ন অভিযানে কেন যাব'! শেষলগ্নে বিরুদ্ধস্বর বিজেপি-র অন্দরে, মেজাজ হারালেন দিলীপ
Dilip Ghosh: রবিবার রাজ্য বিজেপি দফতরের অদূরে মাহেশ্বরী ভবনে সমাবেশ করেন, বিজেপি কর্মীদের একাংশ। সেই সমাবেশ থেকে সরাসরি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে আক্রমণ করেছেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।
কলকাতা: নবান্ন অভিযান (Nabanna March) ঘিরে চূড়ান্ত তৎপরতা জেলায় জেলায়। তার মধ্যেই অস্বস্তি বিজেপি-র (BJP) অন্দরে। নবান্ন অভিযানে যাওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিজেপি-র কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররা তৃণমূলের গুন্ডাদের নিয়ে প্রচার করছেন। সাচ্চা বিজেপি-র কেউ তাতে শামিল নেই। তাই এ ভাবে নবান্ন অভিযান করে মানুষ টানা যাবে না বলে অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের (BJP Workers)।
নবান্ন অভিযান নিয়ে বিজেপি-র অন্দরেই অসন্তোষ!
রবিবার রাজ্য বিজেপি দফতরের অদূরে মাহেশ্বরী ভবনে সমাবেশ করেন, বিজেপি কর্মীদের একাংশ। সেই সমাবেশ থেকে সরাসরি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে আক্রমণ করেছেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। তাঁদের এক কর্মী বলেন, "সব চিটিংবাজগুলিকে নিয়ে যাচ্ছে। নবান্ন অভিযানে আমরা কেন যাব? যাঁরা প্রচার করছেন, দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) থেকে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), তাঁদের সঙ্গে অধিকাংশই তৃণমূলের গুন্ডা। আজ যাঁরা প্রচার করছেন, তাঁদের দেখে মানুষ আসবেন না। সাচ্চা বিজেপি-কে দেখে আসবেন। ভোট যতটা বেড়েছে, তা সাচ্চা বিজেপি-র জন্যই বেড়েছে। আজ দিলীপ ঘোষ এত বড় বড় কথা বলছেন। বিধানসভায় কেন হারল বিজেপি, ওঁকে জবাব দিতে হবে। দিলীপ ঘোষই মূল অপরাধী।"
বিজেপি-র আর এক কর্মী বলেন, "সিস্টেমের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ। সংবিধান অনুসারে, দলে যাঁদের ভাবমূর্তি ভাল, তাঁদের ক্ষমতায় আনা হোক। এতে সংগঠন বাড়বে। ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।"
"প্যারাশুটে, হেলিকপ্টারে, লিফটে আনা নেতাদের হাতে দল দিলে চলবে না, রাজ্যজুড়ে দুর্বল হচ্ছে বিজেপি," এমন মন্তব্যও শোনা যায় বিজেপি কর্মীদের মুখে। দলের কর্মীদের মুখে এমন অভিযোগ শুনে যদিও কার্যতই তেড়ে ওঠেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তিনি বলেন, "***কে? কোন ***** ওটা? এমন অনেক ***** আমাদের পায়ের নিচে দিয়ে বেরিয়ে যায়।"
বিজেপি নেতা সজল ঘোষ প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, "বিজেপি কোনও পেশা নয়। তৃণমূলের মতো কোনও সংস্থা নয় বিজেপি। এটা একটা আবেগ। সেই আবেগে ব্যথা, বেদনা রয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। বড় পরিবার। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়ে এখানে জায়গা মেলে। এখানে লিফটে চাপা যায় না, হেলিকপ্টারে নামা যায় না।"
তবে নবান্ন অভিযানের আগে বিজেপি-র অন্দরে এমন গোলমাল নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের শান্তনু সেন। তাঁর কথায়, "বিজেপি এভাবেই শেষ হয়ে যাবে। সিপিএম এবং কংগ্রেস শূন্য হয়ে গিয়েছে। যে ভাবে তাসের ঘরের মতো ভাঙছে বিজেপি, একটা সুকান্তবাবুর বিজেপি, একটা শুভেন্দুবাবুর বিজেপি, একটা দিলীপবাবুর বিজেপি, একটা তথাগত রায়ের বিজেপি বাঁচাও কমিটির বিজেপি। অন্তর্দ্বন্দ্বে জেরবার হতে হতে সিপিএম এবং কংগ্রেসের মতোই শূন্যের দিতে এগোচ্ছে বিজেপি। আগামী দিনে বিজেপি-ও শূন্য হয়ে গেলে রাজনীতির ময়দানে কার সঙ্গে লড়বে তৃণমূল, এটা ভেবেই খারাপ লাগছে আমার।"
বিজেপি-কে তীব্র কটাক্ষ শান্তনু সেনের
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপি-র নবান্ন অভিযান। দুর্নীতির অভিযোগ বিদ্ধ তৃণমূল নেতাদের উদাহরণ সামনে রেখে 'চোর ধরো, জেল ভরো' স্লোগান নিয়ে তিন দিক থেকে এগোবেন দলের নেতারা। যদিও তাঁদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তবে জেলায় জেলায় নবান্ন অভিযান নিয়ে প্রস্তুতি মিছিল এবং প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা।