Village Sampark Yatra: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলায় বর্ডার ভিলেজ সম্পর্ক যাত্রা শুরু বিজেপির
BJP Youth Wing:পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলায় বর্ডার ভিলেজ সম্পর্ক যাত্রা শুরু করল বিজেপি। সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘুরে ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি অভাব অভিযোগও শুনলেন বিজেপি যুব মোর্চার নেতারা।
রাজা চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে (panchayat election 2023) বাংলায় বর্ডার ভিলেজ সম্পর্ক যাত্রা (border village sampark yatra) শুরু করল বিজেপি। সীমান্তবর্তী (border area) এলাকায় ঘুরে ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি অভাব অভিযোগও শুনলেন বিজেপি যুব মোর্চার নেতারা। কেন্দ্রের ব্যর্থতা ঢাকতে নাটক, কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
কী হল?
পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনতা জনার্দনের দরজার দরজায় শাসক থেকে বিরোধী। একদিকে যখন জেলায় জেলায় ঘুরছেন তৃণমূলের দিদির দূতেরা, ঠিক সেই সময় রাজ্যে বর্ডার ভিলেজ সম্পর্ক যাত্রা শুরু করল বিজেপি। কেমন আছেন সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজন? সেই সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতেই সীমান্তলাগোয়া এলাকায় ঘুরছেন বিজেপি যুব মোর্চার সদস্যরা। শনিবার বিকেলে, বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি প্রিয়াঙ্কা শর্মার নেতৃত্বে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ থানার সামনে থেকে শুরু হয় বাইক মিছিল। সীমান্ত লাগোয়া চম্পদগছ ও মঘাপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে অভাব অভিযোগ শোনেন বিজেপির যুব নেতারা। কেউ জানান, তাঁদের বাড়ির হাল ভাল না। মাটির ঘর। কারও কাছে আবার বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য কমিটি সহ সভাপতি প্রিয়ঙ্কা শর্মা জানতে চান, 'বিধবা ভাতা পাচ্ছেন?' উত্তর আসে, 'না কিছু পাই না।' রাজগঞ্জের মঘাপাড়ার বাসিন্দা রিনা বিশ্বাস যেমন বলেন, 'আমরা বাড়ি পাইনি, তৃণমূল যারা করে তারাই ঘর পাচ্ছে। আর যারা বিজেপি করে তারা ঘর পায় না। আমার স্বামী মারা গিয়েছেন। দুই সন্তান নিয়ে খুব কষ্ট করে দিন কাটাচ্ছি। আমরা যেহেতু বিজেপি করি তাই ঘর পাচ্ছিনা। তৃণমূল আমার বিধবাভাতাও দিচ্ছে না।
কী বলছে বিজেপি?
বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়ে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেছেন বিজেপির যুব নেত্রী। প্রিয়ঙ্কা বলেন, 'মানুষের কাছে বাড়ি নেই, শৌচালয় নেই, জল নেই, এই সরকার কী করছে? আবাস যোজনার অভিযোগ বেশি পাচ্ছি, ২-৩ তলা যাদের বাড়ি তারাই ঘর পাচ্ছে। দুয়ারে সরকার করছে, দিদির দূত যাচ্ছে, এত কিছু করে কী লাভ ? যাঁরা বিজেপি করছে, কিছু পাচ্ছে না, তৃণমূল করলে সুবিধা পাচ্ছে।' যদিও তৃণমূলের দাবি, রং না দেখেই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের মুখপাত্র দুলাল দেবনাথের মত, 'বাংলার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি, কে বিজেপি করে কে তৃণমূল করে রঙ দেখা হবে না। দিদি বলেছে সমস্যা হলে জানান।' পাশাপাশি কোচবিহারের সীমান্ত এলাকায় বিজেপি যুব মোর্চার নেতৃত্বে চলল বর্ডার ভিলেজ সম্পর্ক যাত্রা। শীতলকুচির গোপালপুরে সীমান্ত এলাকায় রাত্রিযাপনের পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় বিজেপি যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। যদিও বিজেপির যুব মোর্চার এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তাদের রাজ্য সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, 'মোদি সরকার বলেছিল চাকরি দেবে, কিন্তু দিতে পারিনি। তাই এখন সীমান্ত এলাকায় কোথায় কী পাচার করা যায় সেসব দেখছে।' সব মিলিয়ে, গ্রামবাংলার ভোটের আগে আমজনতার মনের খবর নিতে আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূল-বিজেপি দুই দল।