Burrabazar House Collapse: বড়বাজার এলাকায় ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ, পুরসভাকেই কাঠগড়ায় তুললেন TMC কাউন্সিলর
Kolkata News: এই ঘটনায় তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন দলেরই কাউন্সিলর মহেশ কুমার শর্মা।

কলকাতা: কলকাতায় একের পর এক বহুতল বিপর্যয়ের মধ্যেই বড়বাজার এলাকায় ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ। আর এই ঘটনার জন্য কলকাতা পুরসভাকেই কাঠগড়ায় তুললেন খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর। পাশাপাশি বিজেপিকেও নিশানা করেছেন ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহেশ কুমার শর্মা। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।
ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ: কলকাতা শহরে একের পর বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক গ্রাস করেছে। তার মধ্যেই এবার বড়বাজারের ব্যস্ত এলাকায় ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ। আর এই ঘটনায় তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন দলেরই কাউন্সিলর মহেশ কুমার শর্মা। তিনি বলেন, "পুরসভার এরিয়া ইনস্পেক্টর ব্যবস্থা নেয় না। মেয়রকে বলেছি, শোনে কিন্তু কাজ হয় না। ২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর মেয়রকে লিস্ট করে দিয়েছিলাম বিপজ্জনক বাড়ি। কোনও বোর্ডও টাঙায়নি।''
বুধবার পোস্তা থানা এলাকার বড়তলা স্ট্রিটের এই বহুতলের একাংশ আচমকা ভেঙে পড়ে। রাস্তার উপরে খসে পড়ে বিরাট বিরাট চাঙড়। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন এক পথচারী মহিলা। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে কাউন্সিলর, সকলেরই অভিযোগ পোস্তা-বড়বাজার এলাকায় এমন বহু পুরনো বাড়ি রয়েছে, যেগুলোর অবস্থা বিপজ্জনক। পদক্ষেপ নেওয়া তো দূরে থাক, সামান্য বোর্ড পর্যন্ত লাগানো হয়নি বলে অভিযোগ। পোস্তা এলাকায় ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির কাউন্সিলর রয়েছেন। বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় পুরসভাকে দুষলেও বিজেপিকে নিশানা করতে ছাড়েননি ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর কথায়, "বড়বাজারে আমি এই ৩ বছর কাউন্সিলর। এদিকে তো সব বিজেপি। এখানে মানুষ ভাল নেই। নেতা ও প্রোমোটারের জন্য। বুঝিয়ে সব দখল করে নিচ্ছে। বলছি কাজ হচ্ছে না।''
এদিকে বিজয়গড়ে ভেঙে পড়া বাড়ি ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, বছর বারো আগে জলা বুজিয়ে তৈরি হয়েছিল এই বহুতল। বাড়ির মালিকের মৃত্যুর পর একাধিকবার মালিকানা হাতবদল হয়। সম্প্রতি এই বাড়ি একদিকে হেলে পড়ে। বহুতলের একাধিক জায়গায় ফাটলও ধরেছে। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। দিন কয়েক আগে, বাঘাযতীনে হেলে পড়া বাড়ি সোজা করতে গিয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে। চারতলা বহুতলের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাড়ি লিফটিংয়ের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না কেউই। পুরসভা সূত্রে খবর, প্রয়োজনে হেলে পড়া বাড়ির বাসিন্দাদের নোটিস দেওয়া হবে। স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে বাড়ির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেই রিপোর্ট চাওয়া হবে। তারপরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Howrah Fire: অগ্নিকাণ্ডে ভষ্মীভূত পরপর বাড়ি, পুড়ে ছাই মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড






















