![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Singur: সিঙ্গুরের জমি ফেরত নিয়ে রাজ্যের অবস্থান কী? জানতে চাইল হাইকোর্ট
Calcutta High Court: আবেদনকারীদের দাবি, রাজ্যের কাছে বহুবার আবেদন করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি, তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।
![Singur: সিঙ্গুরের জমি ফেরত নিয়ে রাজ্যের অবস্থান কী? জানতে চাইল হাইকোর্ট Calcutta High Court asked What is the position of the state with Singur's land return? Singur: সিঙ্গুরের জমি ফেরত নিয়ে রাজ্যের অবস্থান কী? জানতে চাইল হাইকোর্ট](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/01/04/7f18a3508f39def4cd5cba6b6bb75ccb170435036665051_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: সিঙ্গুরের (Singur) জমি ফেরত নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট। ৪ সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, জমিদাতা কৃষকদের ক্ষতিপূরণ সহ জমি ফেরতের বিষয় বিবেচনা করবে রাজ্য। রাজ্যের কাছে বহুবার আবেদন করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি, তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ, দাবি আবেদনকারীদের।
২০০৬ সালে সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনেই রতন টাটাকে পাশে নিয়ে সিঙ্গুরে ছোট গাড়ি তৈরির কারখানার কথা ঘোষণা করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০০৭ সালে সিঙ্গুরে টাটার কারখানা তৈরির কাজ শুরু হয়। আর সেই সময়ই জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন কৃষকদের একাংশ। কৃষকদের ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই ময়দানে নামে বিরোধী দল তৃণমূলও। গোটা দেশের রাজনীতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই সিঙ্গুর আন্দোলন। শেষে ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর সঙ্গে বৈঠকের পর সিঙ্গুর থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন রতন টাটা।
এরপর থেকেই জমি নিয়ে আইনি টানাপোড়েন জারি ছিল। এরপর ক্ষমতায় এসে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সিঙ্গুরে জমি ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, সিঙ্গুরে গিয়ে জমি ফিরিয়ে দেন মমতা। ভেঙে ফেলা হয় টাটার কারখানার কাঠামো। কিন্তু সিঙ্গুরের জমির একটা বড় অংশে কংক্রিটের টুকরো পড়ে থাকায়, সেখানে চাষ করতে পারছেন না জমি মালিকরা। ফলে না হল শিল্প, না ফিরে পাওয়া গেল চাষের উপযুক্ত জমি।
অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট: সিঙ্গুরে শিল্প হয়নি, কারখানার জমিতে ফেরেনি কৃষিও। গত বছর কারখানা না হওয়ায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডকে হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ৩ সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। গতবছর ডিসেম্বরে আদালতে মামলা করে ভারতীয় শান্তি দল। আবেদনকারীদের দাবি, জমি ফেরানো নিয়ে রাজ্যের কাছে বহুবার আবেদন করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। এদিন এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে জমি ফেরত নিয়ে রাজ্যের অবস্থান ৪ সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: West Bengal News: হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরে সক্রিয় পুলিশ, টিটাগড়ের ঘটনায় গ্রেফতার সব অভিযুক্ত
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)