Recruitment Scam : মানিক-জেরা পর্বের আবহেই ইডি-কে প্রেসিডেন্সির জেল সুপারের সম্পত্তির হিসাব নিতে বলল হাইকোর্ট
Manik Bhattacharya : গত বছর ১১ অক্টোবর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কার্যত খড়্গহস্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত মনে করছে, ২০২০-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাতে দুর্নীতি হয়েছে এবং তাতে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজই সিবিআইকে জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অক্টোবর মাস থেকে এই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই বন্দি আছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি। তাঁকে জেরা করার সময় প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার যেন কোনও সমস্যা না করেন সেকথাও বলেন বিচারপতি। তাঁর নির্দেশ, 'জেল সুপার সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন, না করলে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।' পাশাপাশি বিচারপতি ইডিকে নির্দেশ দেন, 'জেল সুপারের সম্পত্তির হিসাব নেওয়া শুরু করুন।'
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। গত বছর ১১ অক্টোবর নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন মানিক। একই জেলে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।
আজ কলকাতা হাইকোর্টে ২০২০-র একটি মামলায় শুনানি চালকালীন ফের চর্চায় উঠে আসেন মানিক ভট্টাচার্য। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, আজ রাত ৮ থেকে ৮.৩০-র মধ্যে এবং আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে সিবিআইকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জেরা শুরু করতে হবে। জেরা-পর্ব ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। ক্যামেরায় না হলে ফোনে রেকর্ড করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, 'এখানে নিশ্চয় আর্থিক লেনদেন আছে।' বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, 'প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার কোনও সমস্যা তৈরি করবেন না। জেল সুপার সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন, না করলে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।' এমনকী ইডি-কে জেল সুপারের সম্পত্তির হিসাব নেওয়া শুরু করার কথা বলেন বিচারপতি।
এর পাশাপাশি সিবিআইয়ের কাছে বিচারপতি জানতে চান, জেরার সময় অন্য কোন ব্যক্তি থাকেন? উত্তরে সিবিআই জানায়, না। তখন বিচারপতি বলেন, প্রয়োজন মনে করলে আদালত বিশেষ আধিকারিক দিতে পারে। সিবিআই জানায়, যেহেতু আগের মামলায় গ্রেফতারির ওপর সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তাই এই নতুন অভিযোগে নতুন এফআইআর প্রয়োজন। ইডিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'আমি সবকিছু করছি, কিন্তু ভগবান যিনি ওপরে বসে আছেন, তিনি কিছু করছেন না। আপনি জানেন তো কে ভগবান।' কাল বিকাল চারটেয় এই মামলায় ফের শুনানি রয়েছে।