Calcutta High Court: 'স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে তালা মেরে দিন', কেন বললেন বিচারপতি?
Recruitment Corruption Case:গোঠা হাইস্কুল সংক্রান্ত মামলায় এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের থেকে প্রয়োজনী সাহায্য মিলছে না, বিচারপতির কাছে এমনই অভিযোগ করেছিল সিআইডি
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Recruitment Scam Case) নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে কার্যত তোপ দাগলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার মতো কড়া মন্তব্যও করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
কী বলেছেন বিচারপতি?
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, 'স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে তালা মেরে দিন। এরাই তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করছে।'
গোঠা হাইস্কুল সংক্রান্ত মামলায় এসএসসি (SSC) ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের থেকে প্রয়োজনী সাহায্য মিলছে না, বিচারপতির কাছে এমনই অভিযোগ করেছিল সিআইডি। সেই সময়েই সিআইডিকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, 'সিআইডি-র উপর আস্থা আছে, কিন্তু এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে কী তদন্ত হচ্ছে?' তদন্তকারী সংস্থাকে তিনি প্রশ্ন করেন, 'কোনও কর্মীর নথি কমিশন বা পর্ষদে না পেলে সরাসরি স্কুলে যান, নথি সংগ্রহ করুন। এটা কি বিরাট কোনও কাজ?'
বিচারপতির কাছে আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছে সিআইডি (CID on Recruitment Scam Case)। যাদের নামে অভিযোগ, তাঁদের থেকে বেতন ফেরত নেওয়া যায় কিনা, বিবেচনা করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
নিয়োগপত্র ও সুপারিশপত্র জাল করে নিজের স্কুলেই ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, মুর্শিদাবাদের গোঠা এ আর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির আবহে, মুর্শিদাবাদের এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট CID তদন্তের নির্দেশ দেয়। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, তাঁর ছেলে অনিমেষ সহ ৬ জন। অন্যের নিয়োগপত্র ও সুপারিশপত্র জাল করে স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেশ তিওয়ারির বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি গোঠা এ রহমান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। গ্রেফতার হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাক্তন ডিআই পূরবী দে বিশ্বাস, মুর্শিদাবাদ জেলা শিক্ষা দফতরের কর্মী নিত্যগোপাল মাজি এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মী অঞ্জনা মজুমদারও।
সেই মামলাতেই এদিন সিআইডির সমালোচনা করে আদালত। এদিন বিচারপতি সিআইডিকে প্রশ্ন করেন, আমি কি এখানে বসব না কি আপনাদের সিটে যোগদান করব? এই পরিস্থিতিতে বিচারপতির কাছে আরও ১৫ দিন সময় চায় সিআইডি। পাশাপাশি, যাঁদের নামে অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে বেতন ফেরত নেওয়া যায় কিনা, বিবেচনা করতে রাজ্যকে নির্দেশ দেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: শাহরুখের মুকুটে সেরা অভিনেতার সম্মান, কে হলেন সেরা অভিনেত্রী?