Calcutta Medical College: ঘেরাও উঠলেও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অনড়, অন্যথায় আজ থেকেই অনশনের হুঁশিয়ারি
রাতে ঘেরাওমুক্ত হলেও এখনও মেডিক্যাল কলেজেই রয়েছেন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ-সহ বেশ কয়েকজন বিভাগীয় প্রধান। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।
কলকাতা: প্রায় সাড়ে ৩৪ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Kolkata Medical College Hospital) অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা। তবে ঘেরাও উঠলেও, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এখনও অনড় চিকিৎসক পড়ুয়ারা। আজ দুপুর ২টো পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।
অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানানোর পাশাপাশি, আন্দোলনকারী চিকিত্সক পড়ুয়াদের হুঁশিয়ারি, বিক্ষোভকারীদের হেনস্থাকারী অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এবং গতকাল ঘেরাও চলাকালীন সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি কী কারণে ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকল, তার জবাব না পেলে, আজ থেকেই অনশন শুরু করবেন তাঁরা। অন্যদিকে, রাতে ঘেরাওমুক্ত হলেও এখনও মেডিক্যাল কলেজেই রয়েছেন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ-সহ বেশ কয়েকজন বিভাগীয় প্রধান। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।
ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ধুন্ধুমার বাধে গত কয়েকদিন ধরেই। পড়ুয়াদের একাংশের হাতে ঘেরাও হন কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ-সহ একাধিক বিভাগীয় প্রধান। যার জেরে দিনভর হাসপাতালের পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ উঠল। যদিও তা মানতে নারাজ আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।
ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে পড়ুয়াদের একাংশের আন্দোলনে মঙ্গলবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। একইসঙ্গে আন্দোলনের জেরে ওঠে হাসপাতালের পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগও ওঠে!
ঠিকঠাক পরিষেবা মিলছে না, এই অভিযোগ তুলে এদিন একদল রোগীর আত্মীয় হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের কাছে জড়ো হন! আন্দোলনকারীদের সঙ্গে শুরু হয় বাদানুবাদ। হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাহত হওয়া নিয়ে আবার ভিন্ন সুর শোনা যায় নার্সদের মধ্যে।
মেডিক্যাল কলেজের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরির কাছে মঙ্গলবার দেখা যায় লম্বা লাইন! সকাল থেকেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রোগীর আত্মীয়দের। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে টোকেন দেওয়া, পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার কাজ শুরু হলেও, এদিন কাউন্টার খোলে বেলা পৌনে বারোটায়।
রোগী পরিষেবা (Service) ব্যাহত হওয়ার কথা মেনে নেন খোদ অধ্যক্ষ। পড়ুয়াদের একাংশের আন্দোলনে মেডিক্যালে ধুন্ধুমার। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, আন্দোলনের জেরে এদিন পরিষেবার পাশাপাশি ব্যাহত হয় পঠনপাঠনও।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘেরাও এর জেরে সমস্যা। ঘেরাও তুলে রোগীর পরিজনদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হোক। পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হোক, আবেদন করেন এক রোগীর আত্মীয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলাও দায়ের করা হয় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে। আজ শুনানির সম্ভাবনা। ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সহ বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করে রাখেছন পড়ুয়ারা। এর জেরে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি পরিস্থিতি।