Calcutta University: রাত পোহালেই TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবস, পরীক্ষার সিদ্ধান্তে অনড় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
TMCP Foundation Day: বৃহস্পতিবার, কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ৮১ টি সেন্টারে, ১৪টি বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্য়া প্রায় ৩০ হাজার।

কলকাতা: রাত পোহালেই TMCP-র প্রতিষ্ঠাদিবস। কালই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের পরীক্ষা। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের যাবতীয় চাপ সত্ত্বেও পরীক্ষার সিদ্ধান্তে অনড় বিশ্ববিদ্যালয়।
রাত পোহালেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। আর এই দিনই অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে BA, BSc, B.Com, B.A. LLB-র চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা। একইদিনে পরীক্ষা, আবার শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি। আর এই নিয়েই কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যর সঙ্গে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংঘাত দীর্ঘদিন ধরেই চরমে। শুরু থেকেই ২৮ অগাস্ট পরীক্ষার দিন বদলের দাবি জানিয়ে আসছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পরীক্ষার দিন বদলের আর্জি জানিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়কে চিঠি দেয় শিক্ষা দফতরও। একাধিক কলেজের অধ্য়ক্ষরাও উপাচার্যের কাছে চিঠি লেখেন ২৮ অগাস্ট (তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস) পরীক্ষার দিন বদলের জন্য়। এনিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠিও পাঠায় অধ্য়ক্ষ-অধ্য়াপকদের একটি সংগঠন। কিন্তু, কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শুরু থেকেই নিজের সিদ্ধান্তে অবচল থেকেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন পরীক্ষা হবে পরীক্ষার জন্য় নির্ধারিত দিনেই।
বৃহস্পতিবার, কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ৮১ টি সেন্টারে, ১৪টি বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্য়া প্রায় ৩০ হাজার। যাতে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায়, তার জন্য় কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের তরফে কলকাতা পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, "পরীক্ষা তো হবেই। যেমন হওয়ার তেমন হবে। আমি তো বলব ভয় যেমন ছোঁয়াচে, সাহসও তেমন ছোঁয়াচে। কন্ট্রোলার সাহেব, সবাই সাহস অর্জন করেছেন। ছেলেখেলা তো নয় এটা। আমরা এরকম একটা কারণের জন্য় পরীক্ষা পিছতে পারি না। পার্টি এবং সরকারকে গুলিয়ে আমি অনন্ত ফেলতে চাই না। গুলিয়ে যাওয়ার মতো বহু কারণ আছে। ওরা পার্টির মতো পার্টি প্রতিবাদ করছে। কিন্তু সরকারের বোঝানো উচিত। এই চেয়ারে সেই মানুষেরই বসা উচিত, যাঁর সম্পূর্ণ অ্য়াকাডেমিক স্বাধীনতা থাকবে। কোনও রাজনৈতিক দল তাঁকে নির্দেশ দেবে না। এই ডেটগুলো কিন্তু উপাচার্য ঠিক করেনি। সব ভাগ করা আছে। আমার ইচ্ছা হল, এই এই ডেটে পরীক্ষা করে দিলাম। এমন হয় না। এই পরীক্ষার জন্য় এক্সপার্ট মানুষজন বসে কাজ করেছেন। এর একটা দিন এদিক-ওদিক করা মানে ভীষণ বিপদ। ভীষণ মুশকিল।''
পরীক্ষার দিন না বদলানোয় শুরু থেকে অন্তবর্তী উপাচার্যে আক্রমণ করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টা আগেও তার ব্য়াতিক্রম হয়নি। ছাত্র সংগঠনের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী বলেন, "উনি তো নিজের প্রভুদেরকে সন্তুষ্ট করলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়কে পরিচালনা করার মতো যোগ্য়তা ওঁর কোনওদিনই ছিল না। সিভি আনন্দ বোস জোর করে ওঁকে ওই চেয়ারে বসিয়ে রেখে দিয়েছেন।''






















