Cattle Smuggling Case: গরুপাচারে BSF-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, জনস্বার্থ মামলা থেকে শাহের নাম বাদ দিতে বলল হাইকোর্ট
Amit Shah: গরুপাচার সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় আদালতে। তাতে শাহের নাম উল্লেখ করা ছিল।

সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ধরপাকড় চলছে রাজ্য জুড়ে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হেভিওয়েট তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডল। অথচ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে উচ্চবাচ্য করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাই নিয়ে কাটাছেঁড়ার মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) নাম উল্লেখ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু ওই মামলা থেকে শাহের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
জনস্বার্থ মামলা থেকে অমিত শাহের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ
গরুপাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে বিএসএফএর-ও (BSF) । তাদের প্রাক্তন কমান্ডার সতীশ কুমার গ্রেফতারও হন। যদিও কয়েক মাসেই জামিনে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। সম্প্রতি অনুব্রতর গ্রেফতারির পরও বিএসএফ-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সিবিআই-এর রিপোর্টে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক গরুপিছু ২০০০ টাকা করে নিতেন বিএসএফ কর্তারা। কাস্টমস দফতরের কাছে যেত ৫০০ টাকা করে।
তার পরও বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হচ্ছে না কেন, উঠছে প্রশ্ন। এমনকি যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিসএফ-কে নিয়ন্ত্রণ করে, তার প্রধান, শাহের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলায় গরু ঢোকানো চলবে না বলে বার বার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরও উদ্যোগী হয়নি কেন্দ্র।
এই আবহে গরুপাচার সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় আদালতে। তাতে শাহের নাম উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু শাহের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, শাহের নাম বাদ দিয়ে মামলাকারীকে ৩ দিনের মধ্যে নতুন করে নথি জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: DA Case: নির্দেশ সত্ত্বেও মেটানো হয়নি মহার্ঘ ভাতা, মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে আদালত আবমাননা মামলা দায়ের
গরুপাচার মামলার তদন্তে বীরভূমকে ট্রানজিট পয়েন্ট করে কীভাবে একাধিক জেলার সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার হত, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চার্জশিটে ইতিমধ্যেই সেই সংক্রান্ত তথ্য সামনে এসেছে। সেই নিয়ে বিরোধীরা যখন তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে, সেই সময় তৃণমূল বার বার বলেছে যে, সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার হলে, তার দায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। আর BSF কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অন্তর্গত,যার মাথায় রয়েছেন খোদ শাহ।
গত জুন মাসে গরুপাচারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন রমাপ্রসাদ সরকার নামে এক আইনজীবী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সীমান্ত পাহারায় থাকা BSF’র নজর এড়িয়ে গরু পাচার হয় কী করে? BSF কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাই গরু পাচারের ক্ষেত্রে অমিত শাহও দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না বলে দাবি করেন মামলাকারী।
মামলাকারীর দাবি ছিল, এ বিষয়ে যা পদক্ষেপ করতে হবে, শাহকেই করতে হবে। এতদিন তিনি কেন কোনও পদক্ষেপ করেননি সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। পাশাপাশি, আদালত যাতে শাহকে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেয়, সেই আবেদনও জানান মামলাকারী।
গরুপাচার মামলায় বিএসএফ-এর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার জানিয়ে দিয়েছে, মামলাকারীর যেহেতু শাহর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোনও অভিযোগ নেই, সেই কারণে গরুপাচারের জনস্বার্থ মামলা থেকে বাদ দিতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম।






















