Tapas Saha: তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে তদন্তে আগ্রহী, হাইকোর্টে জানাল সিবিআই
নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেদিনই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কলকাতা হাইকোর্টে আগ্রহ প্রকাশ করল সিবিআই।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার (Tapas Saha) বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হাইকোর্টে আগ্রহ প্রকাশ করল সিবিআই। তাপস সাহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এমন কিছু নথি সামনে এসেছে যার জেরে তদন্তে আগ্রহী সিবিআই (CBI)। আদালতে সওয়াল সিবিআইয়ের আইনজীবীর। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি।
তাপস সাহার বিরুদ্ধে তদন্ত আগ্রহী: নিয়োগ দুর্নীতিতে যেদিন সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেদিনই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কলকাতা হাইকোর্টে আগ্রহ প্রকাশ করল সিবিআই। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার মামলা হাতে নিতে আগ্রহী বলে আদালতে জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত বছর, তাপস সাহার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। অভিযোগ বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা নিয়েছেন তাপস সাহা। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেছেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার হাইকোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার স্বপক্ষে কিছু নথি পাওয়া গেছে। এমন কিছু নথি সামনে এসেছে যার জেরে তদন্তে আগ্রহী সিবিআই।
গত ২২শে মার্চ নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডলে একটি অডিও ক্লিপও শেয়ার করেছিলেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। যাতে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি দেওয়া ও তার জন্য টাকার লেনেদেনের বিষয়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথপোকথন শোনা যাচ্ছে। বিজেপি নেতার দাবি, ফোনের একটি কণ্ঠ হচ্ছে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার। যদিও এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা।
তাপস সাহার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখা। নিম্ন আদালতে তারা যে রিপোর্ট পেশ করেছিল তাতে উল্লেখ করা হয়েছে বিধায়কের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল জেরায় দাবি করেছেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩০-৩৬ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা তাঁর মাধ্যমেই তৃণমূল বিধায়কের কাছে গেছে। চাকরি-বিক্রির কমিশন হিসাবে তিনি আরও ৩০-৪০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। এই টাকা দিয়ে স্ত্রীর নামে একাধিক জমি ও বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন বলে, জেরায় বিধায়কের আপ্ত সহায়ক জানিয়েছেন বলে রিপোর্টে দাবি করেছে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। টাকার বিনিময়ে স্কুলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে, তাপস সাহা-সহ চারজনের বিরুদ্ধে FIR-ও দায়েরহয়। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ৪ জনের মধ্য়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও, তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়নি। কেন তাপস সাহাকে গ্রেফতার করা হয়নি? তা নিয়ে হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখেও পড়েছে রাজ্য সরকার।মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ফের এই মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: 'বিজেপির জন্যেই আদালত অবমাননা করছে ইডি-সিবিআই,' আক্রমণে অভিষেক