Recruitment Scam: প্রাথমিকে পোস্টিং-দুর্নীতির মামলায় আজ ফের মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই জেরা
ঠিক ২৩ দিন পরে ফের শূন্যপদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় দেখা যায় তাঁদের জেলায় শূন্যপদ আছে। মাত্র ২৩ দিনে কী করে তৈরি হল এই শূন্যপদ? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

কলকাতা: প্রাথমিকে পোস্টিং-দুর্নীতির মামলায় আজ ফের মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করবে সিবিআই। হাইকোর্টের নির্দেশে গতকালও রাত ১২টা পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতিকে জেরা করে CBI। প্রাথমিকে পোস্টিং দুর্নীতির অভিযোগ করে হাইকোর্টে মামলা করেন মুর্শিদাবাদ-বাঁকুড়া-বীরভূম-হুগলি, এই চার জেলার শতাধিক প্রার্থী।
ডিজাইনড কোরাপশন, নিয়োগ দুর্নীতির থেকে এই দুর্নীতির চরিত্র আলাদা, উদ্বেগ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে FIR করে মানিককে হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতির। গতকাল মামলার শুনানিতে তিনি বলেন, বলা হয়েছিল হোম ডিস্ট্রিক্টে শূন্যপদ নেই, ফলে বাধ্য হয়ে দূরের জেলায় চাকরি গ্রহণ করেন বহু শিক্ষক। ঠিক ২৩ দিন পরে ফের শূন্যপদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় দেখা যায় তাঁদের জেলায় শূন্যপদ আছে। মাত্র ২৩ দিনে কী করে তৈরি হল এই শূন্যপদ? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে প্রাথমিকে বদলি দুর্নীতি মামলায় গতকালও প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে প্রায় আড়াইঘণ্টা মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করে CBI, করা হয় প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিওগ্রাফি। ডিজাইনড কোরাপশন, উদ্বেগ প্রকাশ করে মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
প্রাথমিকে বদলি-দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন পদক্ষেপ। হাইকোর্টের নির্দেশে রাতেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করে CBI। প্রায় আড়াইঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতির তৎকালীন সভাপতিকে। প্রাথমিকে বদলি দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে উঠে আসে নতুন শব্দবন্ধ।
এ বার, ডিজাইনড কোরাপশন অর্থাৎ পরিকল্পিত দুর্নীতি নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করলেন বিচারপতি টাইমলাইন বেঁধে দিয়ে ED, CBI-কে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিচারপতি বলেন, ডঃ মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এমন অভিনব দুর্নীতি। এমন ডিজাইনড কোরাপশনে আদালতের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। প্রাথমিকে বদলি দুর্নীতির অভিযোগ করে হাইকোর্টে মামলা করেন মুর্শিদাবাদ-বাঁকুড়া-বীরভূম-হুগলি, এই চার জেলার শতাধিক প্রার্থী।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বলা হয়েছিল হোম ডিস্ট্রিক্টে শূন্যপদ নেই, ফলে বাধ্য হয়ে দূরের জেলায় চাকরি গ্রহণ করেন বহু শিক্ষক। ঠিক ১৭ দিন পরে ফের শূন্যপদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় দেখা যায় তাঁদের জেলায় শূন্যপদ আছে। মাত্র ১৭ দিনে কী করে তৈরি হল এই শূন্যপদ? প্রশ্ন বিচারপতির। এভাবে যদি ৪০০ জনের থেকে ১ লক্ষ টাকা করেও নেওয়া হয়, তাহলেও চার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
প্রাথমিকে নতুন মামলায় অবিলম্বে সিবিআই ও ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতে সিবিআই জানায়, তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন না মানিক ভট্টাচার্য। আদালতের বক্তব্য, যেহেতু এই মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের কোনও রক্ষাকবচ নেই তাই সিবিআই প্রয়োজন মনে করলে এই মামলায় তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে। আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করবে ইডি। প্রয়োজনে তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে ইডিও।
এই আদালত বিশ্বাস করে মানিক ভট্টাচার্য বা পর্ষদের ঘনিষ্ঠ কিছু প্রার্থীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকার লেনদেন হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যকে মঙ্গলবারই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। সিবিআইকে আদালত নির্দেশ দেয়,জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। ক্যামেরায় না হলে ফোনে রেকর্ড করতে হবে।
আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর, রাত ৯.২০ নাগাদ মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যান ১ সাইবার বিশেষজ্ঞ-সহ ৪ সিবিআই আধিকারিক। সংশোধনাগারের ইন্টারোগেশন রুমেই প্রায় আড়াই ঘণ্টা জেরা করা হয় প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতির তৎকালীন সভাপতিকে। প্রাথমিকে বদলি-দুর্নীতি মামলায় উষ্মা প্রকাশ করে এদিন সিবিআইকে বিচারপতি বলেন, যদি আপনারা ঠিক করে তদন্ত করেন, তাহলে খুব ভাল। গা-ছাড়া মনোভাব দেখালে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জানাব।
এর আগে একাধিকবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের ভূমিকা এসেছে আতসকাচের তলায়। এদিন বিচারপতি বলেন, জেল সুপার যদি সহযোগিতা না করেন তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের গোটা প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির বয়ান খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।






















