Jadavpur University : 'এমন আবহাওয়ায় কবে সিসিটিভি বসবে জানি না' CCTV র প্রশ্নে বললেন রেজিস্ট্রার
JU Student Death : ছাত্রমৃত্যুর পরও সিসিটিভি বসানো নিয়ে টালবাহানা কেন? উঠছে প্রশ্ন।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী: ছাত্রমৃত্যুর ১৫ দিন পরও যাদবপুরে বসল না সিসিটিভি। শুক্রবার সিসিটিভি বসানোর প্রস্তুতি শুরুর কথা থাকলেও তার কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ল না। কোথায় ক্যামেরা? কোথায় উদ্যোগ? রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে জিগ্যেস করতে বললেন, এমন আবহাওয়ায় কবে সিসিটিভি বসবে জানি না ! তাঁর মন্তব্য, আজ এসেছি, ওয়ার্ক অর্ডারে সই করব, দেখা যাবে। ছাত্রমৃত্যুর পরও সিসিটিভি বসানো নিয়ে টালবাহানা কেন? উঠছে প্রশ্ন।
১০ অগাস্ট যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর পর কেটে গেছে ১৫টা দিন! নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি চলতি সপ্তাহে জানিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসছে, ক্যামেরা বসবে হস্টেলের সামনেও। বেশ কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানালেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। সেখানে পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হবে সিসিটিভি। তিনি জানান, আপাতত সিসি ক্যামেরা বসতে চলেছে হস্টেলের সামনে। তারপর ধাপে ধাপে অন্যান্য জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর জন্য ওয়েবেলকে টেন্ডার জমা দিতে বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটি। কিন্তু এতকিছুর পরও, বারবার সামনে চলে আসছে যাদবপুর ক্যাম্পাসে ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ও নজরদারির অভাবের ছবিটা। বুধবারই ক্যাম্পাসে দেখা যায়, ২০-২২ পুরুষ ও মহিলা সেনার আদলে পোশাক পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় অরবিন্দ ভবনের সামনে। তারা কারা সেই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কীভাবেই বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারলেন? কেন গেটে আটকাল হল না? পরে জানা যায়, এরা সকলেই এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি নামে এক বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি। সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এবার সেনার পোশাক পরে ক্যাম্পাসে ঢোকা বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে নোটিস দিল পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও বেশকিছু নথি। পাশাপাশি তলব করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টসকে।
ছাত্রমৃত্যুর পর বিতর্কের জেরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের যাওয়া-আসা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সব মহলে। এরপর রাত ৮টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত পরিচয় পত্র দেখিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হয়। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে সকাল সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কারা ঢুকছেন, বেরোচ্ছেন, তাদের ওপর নজরদারির কী হবে? এরমধ্যেই বুধবার ক্যাম্পাসে সেনার আদলে পোশাক পরে ঢোকা নিয়ে শুরু হল বিতর্ক।
আরও পড়ুন :