Fake Vaccine Controversy: নকল করে বাজারে বিক্রি শিশুদের ভ্যাকসিন! CDSCO-র রিপোর্টে আশঙ্কা
Vaccine News Update: সদ্যজাতর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে, যে ভ্যাকসিনের ওপর নিশ্চিন্তে ভরসা করেন মা-বাবারা, তাতেও কি এখন লুকিয়ে ভয়?

কলকাতা: শিশুদের জন্য আবশ্যিক টিকাও (Fake Vaccine Controversy) জাল করে বিক্রির অভিযোগ। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্য়ান্ডার্ড কন্ট্রোলের পরীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। CDSCO সূত্রে খবর, ২০১৭ থেকে ২০২৩, এই ৭ বছরে উৎপাদিত বহু ভ্যাকসিনের নমুনা জাল হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
নকল ওষুধ নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এবার নকল ভ্যাকসিন বিতর্ক। সদ্যজাতর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে, যে ভ্যাকসিনের ওপর নিশ্চিন্তে ভরসা করেন মা-বাবারা,
তাতেও কি এখন লুকিয়ে ভয়? জন্মের পর শিশুকে দেওয়ার আবশ্যিক ভ্যাকসিনগুলোও কি এখন নকল করে বিক্রি হচ্ছে বাজারে? ভয়ঙ্কর রোগ থেকে বাঁচতে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তাও কি এখন জাল? সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্য়ান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সাম্প্রতিক পরীক্ষায় উঠে আসছে তেমনই উদ্বেগের ছবি।
CDSCO সূত্রে খবর, ২০১৭ থেকে ২০২৩, এই ৭ বছরে উৎপাদিত বহু ভ্যাকসিনের নমুনা জাল হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে যেমন আছে শিশুর জন্মের পরেই দেওয়া ওরাল পোলিও টিকা, তেমনই রয়েছে টাইফয়েড, টিটেনাস, হেপাটাইটিস বি, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি-এর নকল ভ্যাকসিন। এমনকী নামী সংস্থার কোভিড ভ্যাকসিনও নকল করে বাজারে বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্য়ান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন সূত্রে খবর, গুণমান পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি নামী সংস্থার ১৬টি ব্যাচের ভ্যাকসিন। ২০১৭ সালে ফেল করে টাইফয়েড ও টিটেনাস টিকার দু'টি ব্যাচ। ঠিক তার পরের বছর পাস করতে পারেনি শিশুদের জন্য দেওয়া DTP টিকা, হেপাটাইটিস বি, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভ্যাকসিনের একটি ব্যাচ। ২০১৮ সালেই গুণমান পরীক্ষায় উতরোতে পারেনি টাইফয়েড টিকার ২টি ব্যাচ। নিম্নমানের বলে প্রমাণিত হয় শিশুদের ওরাল পোলিও টিকার দুটি ব্যাচ এবং একটি ব্যাচের টিটেনাসের টিকা। একই রকমভাবে ২০১৯ সালেও গুণমানের পরীক্ষায় ফেল করে শিশুদের দেওয়া DTP, হেপাটাইটিস বি, ইনফ্লুয়েঞ্জা B টিকার একটি ব্যাচ এবং টিটেনাসের টিকা। ২০২৩ সালেও সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্য়ান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয় শিশুদের টাইফয়েডের টিকা।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ বলেন, "ভয়ঙ্কর ক্রাইম। একটা বাচ্চাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে সুরক্ষার জন্যে, কিন্তু সেটা যদি জাল হয় সেটা ভয়ঙ্কর। এর যাবজ্জীবন হওয়া উচিত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে রোখা যাবে না। ভ্যাকসিনও যদি জাল হয় আমরা কোনদিকে যাব? নকল ভ্যাকসিন হলে রোগের বিরুদ্ধে কাজই করবে না। এমনকী ইনফেকশন হওয়ার চান্সও থাকে।''
কিন্তু, নকল টিকা শরীরে গেলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা তো জন্মাবেই না, বরং হতে পারে হিতে বিপরীত। এমনই আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ওষুধ বলুন, ভ্যাকসিন বলুন, গুণমান রক্ষার জন্য যে লোকবল, ল্যাবরেটরি, এই প্রক্রিয়ার মধ্যে যে পরিকাঠামো দরকার সেসব নেই। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সবাইকে কালোবাজারি রুখতে নজর রাখতে হবে, পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে হবে। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা যাদের ভ্যাকসিনেটেড ভাবছি, তারা জাল ভ্যাকসিন পেলে আদৌ তো তারা ভ্যাকসিনিটেড নয়। নকল টিকা ব্যবহার হচ্ছে, তার মানে বাচ্চাদের শরীরে প্রতিরোধক ক্ষমতা হল না।'






















