CESC responds to Mamata Banerjee: জলমগ্ন রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের জবাবে দায় এড়াল CESC
Mamata Banerjee: রাজ্যজুড়ে মৃতদের মৃত্যুর দায় CESC কর্তৃপক্ষকে নিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

কলকাতা: পাঁচ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহরতলি। রাস্তায় জমা জলের মধ্যে তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১। এই নিয়ে চলছে দায় ঠেলাঠলি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে (CESC Limited) কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের জবাবে সিইএসসি সম্পূর্ণভাবে দায় এড়িয়ে যায়।
এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিন, এই দুর্যোগে যাঁরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন, তাঁদের পরিবারের মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তিনি সিইএসসি-কর্তার সঙ্গে নিজে কথা বলেছেন। যদি সিইএসসি চাকরি দেয় তো ভাল, না হলে সরকারের তরফে চাকরি ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'রাজ্য সরকারও মৃতদের পরিবারের পাশে আছে । জীবনের বিকল্প অর্থ হয় না । পুজোর আগে এতগুলো জীবন চলে গেল। সকলকে অনুরোধ করব জল থাকাকালীন কেউ রাস্তায় বেরোবেন না'। তিনি বলেন, 'এর আগেও একাধিক দুর্ঘটনা হয়েছে, কিন্তু সিইএসসি সতর্কভাবে কাজ করছে না, এভাবে যেন মানুষের প্রাণ না যায় । সিইএসসি-কে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, চাকরিও দিতে হবে'।
সিইএসসি-র তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টে লেখা হয়, 'স্ট্রিট লাইট পোল, ট্রাফিক লাইটগুলি না আমাদের মালিকাধীন, না সেইগুলি আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করি, সে সেগুলি আমাদের দ্বারা পরিচালিত। আমাদের দল দিনরাত কাজ করছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং আমরা সবসময়ই সংস্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।'
As a matter of abundant caution considering public safety, due to extreme water-logging as a result of incessant rainfall, supply to certain areas continues to be kept switched off proactively by us.
— CESC Limited (@CESCLimited) September 23, 2025
We shall be able to restore power only when we are informed by the appropriate… pic.twitter.com/hSuWa5Ex4i
অর্থাৎ এই পরিস্থিতিতে সিইএসসির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতদের প্রাণহানির জন্য তাঁরা দায়ী নন। তাঁদের তরফে আরও জানানো হয়েছিল যে পরিস্থিতি যতক্ষণ না উন্নত হবে, কর্তৃপক্ষের তরফে নিরাপদ সীমায় জল নামবে, ততক্ষণ বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে মঙ্গলবার রাতেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ফের একবার প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি। নরেন্দ্রপুরে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।






















