Mamata Banerjee : ‘দেখে নেব, দেখে নেব’... কে কাকে দেখবে? বিজেপির উদ্দেশে ঝাঁঝালো মুখ্যমন্ত্রী
Mamata Vs Suvendu : মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, চোরের মায়ের বড় গলা ... ভয় দেখাচ্ছেন?
কলকাতা : বিধানসভায় পাস হয়ে গেল প্রস্তাব। সোমবার বিধানসভায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অতি সক্রিয়তার অভিযোগে আনা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। আর তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির উদ্দেশে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়করা।
দুর্নীতিতে কড়া মোদি : শুভেন্দু
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার নাম না করে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। পাল্টা শুভেন্দু বললেন, দুর্নীতিতে কড়া মোদি, যাই করুক কেন, লাভ নেই। বিরোধী দলনেতা বলেন, ' এই মুহূর্তে রাজ্যে ১৫টি ক্ষেত্রে ইডি বা সিবিআই তদন্ত করছে। সবটাই আদালতের নির্দেশ। একটাও কেন্দ্রের নির্দেশে নয়। ফলে ইডি বা সিবিআই নিয়ে আপনি আলোচনা করতে পারেন না। '
কে কাকে দেখবে? চ্যালেঞ্জ মমতার
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরও বলেন,' দরজা খুললেই টাকার পাহাড় বেরোচ্ছে। চোর ধরো আটকানো যাবে না। চুরি করলে ধরা পড়বেন। আটকাতে পারবেন না। পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, '' চোরের মায়ের বড় গলা। আরও বলেন, ভয় দেখাচ্ছেন? ‘দেখে নেব, দেখে নেব’... কে কাকে দেখবে? আয়নায় তাকিয়ে দেখুন, ডুবুডুবু হচ্ছে ভারতবর্ষ। ২০২৪ সালে ফানুস চুপসে যাবে।''
বিজেপিতে গেলেই ওয়াশিং মেশিন
শুভেন্দু অধিকারীর নাম না নিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''বিজেপিতে গেলেই ওয়াশিং মেশিন! নারদা-সারদা নিয়ে অভিযোগ এলে ববির ডাক পড়ে, সুব্রত দার ডাক পড়ে, আপনারা বলুন তো আপনাদের যিনি প্রধান এখানে আছেন তার বাড়িতে তল্লাশি কটা হয়েছে। ''
সেইসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিক্রির প্রসঙ্গ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, '' চ্যালেঞ্জ করছি প্রমাণ করে দেখাও '', বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলতে থাকেন, 'আয়নায় নিজের মুখ দেখুন। আপনার কত ফ্ল্যাট, কত পেট্রল পাম্প, কত ট্রলার আছে? টাকার গল্প শোনাচ্ছেন? আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, বিজেপির নেতাদের বাড়িতেও রেড হোক। সবকটার বাড়িতে টাকার পাহাড় পাওয়া যাবে। '
অন্যদিকে আবার সোমবার মমতার মুখে শোনা গেল মোদি-স্তুতি। বললেন, মোদি নয়, এটা কেন্দ্র ও স্থানীয় বিজেপির কাজ। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতিসক্রিয়তা নিয়ে মন্তব্য তাঁর। তিনি আরও বলেন, ' আমি বিশ্বাস করি না এটা (কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতিসক্রিয়তা) নরেন্দ্র মোদি করেছেন। অনেকেই জানেন না, সিবিআই এখন আর প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নেই। এখন সিবিআইকে পরিচালনার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাত চলে গিয়েছে। মমতা আরও বলেন, এটা (কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতিসক্রিয়তা) লোকাল বিজেপিকে নিয়ে কেন্দ্রের একটা গেম প্ল্যান। ক্ষমতায় আসতে পারছে না বলে এইসব করছেন।
কাল ওনার (নরেন্দ্র মোদি) জন্মদিন গিয়েছে। আমি বলব সরকার আর দল এক করবেন না। চিতা আর হুলো কিন্তু এক নয়।'