Bangladesh MP Death: এখনও মেলেনি আওয়ামি লিগের সাংসদের দেহাংশ, নৌসেনার সাহায্য নিল সিআইডি
CID Sought Help Of Navy:বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশের খোঁজে নৌসেনার সাহায্য নিল সিআইডি। বাগজোলা খালে বিশেষ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি নৌসেনার।
আবির দত্ত, কলকাতা: বাংলাদেশের সাংসদের (Bangladesh MP Death) দেহাংশের খোঁজে নৌসেনার সাহায্য নিল সিআইডি (Navy Helps CID)। বাগজোলা খালে বিশেষ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি নৌসেনার। বাংলাদেশের পুলিশের দাবি, নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুন হয়েছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিম। পরে চামড়া ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে তাঁর দেহ কাটা হয়। এখনও মেলেনি আওয়ামি লিগ সাংসদের সব দেহাংশ।
কী ঘটল?
যে অস্ত্র দিয়ে ওই সাংসদকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান, তাও পাওয়া যায়নি বলে খবর। একজন আধিকারিক, হেডফোন লাগিয়ে সেন্সরের মাধ্যমে বাগজোলা খালের অন্দর থেকে কিছু খোঁজার চেষ্টা করেন। অস্ত্র তৈরিতে সাধারণত যে ধাতব পদার্থ ব্যবহার করা হয়, তার খোঁজেই এই বিশেষ মেটাল ডিটেক্টরের প্রয়োগ। পাশাপাশি, কোনও ব্যাগ পাওয়া যায় কিনা, তারও খোঁজ চলছে। নৌসেনার তরফে যে খোঁজ চলে, পাড় থেকে দাঁড়িয়ে তা পর্যবেক্ষণ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। নামেন ডুবুরিও। কিন্তু অস্ত্র বা দেহাংশ কিছুরই খোঁজ মেলেনি। ঘণ্টাদুয়েকেরও বেশি সময় ধরে এই তল্লাশি চলছে বলে খবর। অভিযুক্তের তরফে যেখানে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, আদৌ তা সেখানে ফেলা হয়েছিল নাকি অন্যত্র কোথাও ফেলা হয়, সেটিও বোঝার চেষ্টা করছেন নৌসেনা আধিকারিকরা।
বাংলাদেশের সাংসদ হত্যা...
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, গত ১২ মে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিম। তার পর ৯ দিন ধরে খোঁজ মিলছিল না আনোয়ার উল-আজিমের। পরে জানা যায়, কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের সাংসদ। তাঁর গাড়ি আগেই উদ্ধার করেছিল নিউটাউন থানার পুলিশ। বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘটনার তদন্ত চলছিল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই সন্দেহভাজনকে আগে আটকও করা হয়। তাঁদের বয়ানের সূত্র ধরেই বাংলাদেশের সাংসদের রহস্যজনক অন্তর্ধান-তদন্তে বুধবার নিউটাউনের একটি আবাসনে তল্লাশি চালায় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। সূত্রের খবর, আবাসনের CC ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে, যে ৩ জন ব্যক্তি সাংসদের সঙ্গে ছিলেন, পরে তাঁরা বেরিয়ে গেলেও সাংসদকে বার হতে দেখা যায়নি। পুলিশ ওই ফ্ল্যাটের মেঝে , বেসিনে চাপ-চাপ রক্তের দাগ পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে না, তাঁর দেহ কোথায়। ধীরে ধীরে আরও হাড় হিম করা তথ্য প্রকাশ্যে আসে। সিআইডি সূত্রে খবর মেলে, মুম্বই থেকে কসাই এনে নিউটাউনেই বাংলাদেশের সাংসদকে খুন করা হয়েছিল। শ্বাসরোধ করে খুনের পরে গোটা শরীরের চামড়া ছাড়িয়ে নেয় আততায়ীরা, খবর মেলে সূত্রে। তার পর কুচি কুচি করে মাংস কাটা হয় বলে খবর। এর পরে মাংস, হাড়ের টুকরো প্লাস্টিক ব্যাগে নিয়ে বেরিয়ে যায় আততায়ীরা। প্লাস্টিক প্যাকেটে মাংস, হাড় ভরে ফেলে দেওয়া হয় কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। সেই দেহাংশ, অস্ত্র ইত্যাদির খোঁজেই তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন:'জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করব', আশ্বাস জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের