Mobile App Fraud: মোবাইল অ্যাপ প্রতারণাকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির খানের শাগরেদকে গ্রেফতার পুলিশের
Garden Reach Businessman: মোবাইল অ্যাপ প্রতারণাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত, গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের আরেক শাগরেদকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃত মঙ্গল হালদার আমিরের তৈরি আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের সদস্য।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: মোবাইল অ্যাপ (mobile app) প্রতারণাকাণ্ডে (fraud) মূল অভিযুক্ত (accused), গার্ডেনরিচের (garden reach) ব্যবসায়ী (businessman) আমির খানের (amir khan) আরেক শাগরেদকে (close aide) গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃত মঙ্গল হালদার আমিরের তৈরি আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের সদস্য। শতাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরির কাজে ভুয়ো কেওয়াইসি সরবরাহ করেছিলেন তিনি।
রহস্যের খাসমহল...
এ যেন পেঁয়াজের খোসা। একটা স্তর ছাড়ালে বেরিয়ে আসছে আরেকটা স্তর। আর প্রতিটি স্তরের পরতে পরতে জড়িয়ে, প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও ধুরন্ধর বুদ্ধিতে ঘুঁটি সাজিয়ে আর্থিক জালিয়াতির ফাঁদ। যার কেন্দ্রীয় চরিত্র অবশ্যই আমির খান। e-nuggets মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা প্রতারণায় অভিযুক্ত এই ব্যবসায়ী। তারই ঘনিষ্ঠ এক শাগরেদকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক প্রতারণা দমন শাখা। ধৃতের নাম মঙ্গল হালদার। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে বাগুইআটি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, মঙ্গল হালদার গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের সদস্য। অ্যাপ প্রতারণার বিপুল টাকা মঙ্গলের অ্যাকাউন্টে রাখা হত। নির্দিষ্ট সময় অন্তর আমির খান মঙ্গলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা ক্রিপটো কারেন্সির মাধ্যমে দুবাইয়ে সরিয়ে ফেলতেন বলে আরও দাবি সরকারি আইনজীবীর। অভিযুক্তের আইনজীবী সৈয়দ আনসার আলি অবশ্য জানাচ্ছেন, তাঁর মক্কেল নির্দোষ। মিথ্যা কেসে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
প্রেক্ষাপট...
গত ১০ সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচে আমির খানের বাড়ি থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে আমিরকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত আমির খানকে জেরা করেই মঙ্গল হালদারের সন্ধান মিলেছে। প্রসঙ্গত, e nuggets অ্যাপে গেম খেলতে গেলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, সেইজন্য ফেডারেল ব্যাঙ্কে ১৪৭টি অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন আমির। e nuggets অ্যাপে যাঁরা গেম খেলতেন, পুরস্কার ও কমিশনবাবদ তাঁদের টাকা ঢুকত ওই ১৪৭টি অ্যাকাউন্টে। অ্যাকাউন্টগুলি খুলতে ব্যবহার করা হয়েছিল জাল KYC। শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, ১৪৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরির কাজে আমিরকে ভুয়ো KYC সরবরাহ করেছিলেন মঙ্গল। আপাতত আগামী শনিবার পর্যন্ত ধৃতের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই নিয়ে অ্যাপ প্রতারণা মামলায় মোট ৮ জন গ্রেফতার হলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ১ হাজারটি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে।
আরও পড়ুন:পুজোর পরেও উৎসবের রেশ শহরে, বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে কার্নিভ্যাল রেড রোডে, মমতার পাশে টলিউডও