CM Mamata Banerjee:'কে কী খাবে, কে কী পরবে সেটাও ঠিক করে দিচ্ছে বিজেপি', দিল্লি সফরের মুখে সরব মুখ্যমন্ত্রী
CM Delhi Tour:'কে কী খাবে, কে কী পরবে সেটাও ঠিক করে দিচ্ছে বিজেপি...তৃণমূল সোচ্চার হয়েছে বলেই ডেরেককে সাসপেন্ড করা হয়েছে', দিল্লি সফরে যাওয়ার মুখে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের সরব পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: 'কে কী খাবে, কে কী পরবে সেটাও ঠিক করে দিচ্ছে বিজেপি...তৃণমূল সোচ্চার হয়েছে বলেই ডেরেককে সাসপেন্ড করা হয়েছে', দিল্লি সফরে যাওয়ার মুখে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের সরব পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠক। বুধে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। দু'দিন আগেই দিল্লি গেলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যাওয়ার আগে বলে গেলেন, 'এই সব কিছু নিয়ে আওয়াজ তুলব। সেই জন্যই যাচ্ছি।'
কী বললেন?
'সংসদে যা হয়েছে তা নিঃসন্দেহে গুরুতর', বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে জানান, এই সমস্ত কিছুর বিরোধিতা করতেই তাঁর দিল্লি-সফর। গত সপ্তাহে, স্মোক-ক্যান হামলার পর থেকে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। গত সপ্তাহে এই নিয়ে তীব্র অশান্তি হয়। মোট ১৫ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। শুধু তাই নয়। পরে 'সাসপেন্ডেড' তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাস হয় রাজ্যসভায়। সিদ্ধান্ত হয়, ডেরেকের আচরণ নিয়ে তদন্ত করবে প্রিভিলেজ কমিটি। আচরণ পরীক্ষা ও তদন্তের পর প্রিভিলেজ কমিটিকে তিনমাসের মধ্যে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।চলতি শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে রাজ্যসভায় ঢুকতে পারবেন না ডেরেক ও ব্রায়েন। অভিযোগ, বারবার আসনে গিয়ে বসতে বলার পরেও না শোনায় তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। তার আগে, 'ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন 'কাণ্ডে পার্লামেন্টের এথিক্স কমিটির সুপারিশ মেনে তৃণমূলের আর এক জনপ্রতিনিধি মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করা হয়। এই নিয়েও তুমুল শোরগোল হয়েছিল। শুধু তৃণমূল নয়, এর বিরোধিতায় সরব হয় 'ইন্ডিয়া' জোটের শরিক দলগুলিও।
এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগও শোনা যায় তাঁর মুখে। বলেন,'আবাস থেকে স্বাস্থ্য, সব টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রং গেরুয়া করে দিতে বলছে কেন্দ্র..বাংলাকে বদনাম করাই বিজেপির একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।' বস্তুত, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে যে তিনি আলোচনা করতে পারেন সে কথা চিঠিতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। নভেম্বরের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, 'এনএইচএ ফান্ড রিলিজ করতে হস্তক্ষেপ করুন প্রধানমন্ত্রী। হেলথ ও ওয়েলনেস সেন্টারে নির্দিষ্ট রং করার শর্ত তুলে নেওয়া হোক।' তাঁর অভিযোগ ছিল, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আটকে দেওয়া হচ্ছে ।
এই সমস্তই কি আলোচনা হবে এবার? মুখ্যমন্ত্রীর কথায় সে রকমই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন:'পুলিশের ডাকমাস্টার'-কে ফাঁকি দিতেই কি বেপরোয়া গতি নেয় লরি ? জাতীয় সড়কে মৃত ২