(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
2011 AMRI Hospital Fire: হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু রোগীর, তার পর একদশকের আইনি লড়াই পরিবারের, AMRI-কে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ
Consumer Court: ২০১১ সালে কলকাতার ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড ঘটে যায়।
ঝিলম করঞ্জাই কলকাতা: প্রায় এক দশক ঢাকুরিয়া আমরিতে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল রোগীর (2011 AMRI Hospital Fire)। এত বছর পর তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল আদালত (Consumer Court)। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে মৃতের পরিবারকে ৪৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ। তাতে যত দেরি হবে, সেই অনুযায়ী ৯ শতাংশ করে সুদও দিতে হবে বলে জানাল আদালতে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড ঘটে যায়।
আমরি অগ্নিকাণ্ডে একদশকের আইনি লড়াই নিহতের পরিবারের
২০১১ সালে কলকাতার ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড ঘটে যায়। বেসমেন্টে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগে যায় বলে জানা যায় তদন্তে। তাতে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়। তার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলা পৌঁছয় আদালতেও।
ভোররাতে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রায় ১৬০ জন রোগী। আইসিইউ-তেই এর মধ্যে ছিলেন প্রায় ৫০ জন। ওই অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ছিলেন ধানবাদের বাসিন্দা সিয়া রামও। তাঁর মৃত্যুতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন সিয়া রামের পরিবার।
তার পর এক দশক কেটে গিয়েছে। বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে উঠেছেন আমরি কর্তৃপক্ষ। আগের মতোই ফের রমরম করে চলছে হাসপাতাল। কিন্তু তাতেও সিয়া রামের পরিবারের হয়রানি কমেনি। একে একে অনেকে হাত তুলে নিলেও আদালেত নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কঠোর অবস্থান রেখেছিলেন সিয়া রামের বাড়ির লোকজন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: মার্চ-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের
মঙ্গলবার ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে সেই মামলার রায় শোনানো হয়। তাতেই সিয়া রামের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। তার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৪৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যত দেরি করবেন তাঁরা, ৪৫ লক্ষের উপর আরও ৯ শতাংশ হারে সুদও মেটাতে হবে।
আদালতের রায় ঘোষণার পর এ দিন সিয়া রামের পরিবার এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়। মামলায় জয়ী হলেও, একদশকব্যাপী বিলম্বের উপর বাড়তি সুদ এবং অন্য যে দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা, তা সম্পূর্ণ ভাবে পূরণ হয়নি বলে জানায়। সিয়া রামের পরিবারের এক সদস্য বলেন,"সকলেই আপস করে নিয়য়েছেন। আমরা লড়াই করে গিয়েছি। ১০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এত দিন অপেক্ষার পর রায় শোনাল আদালত। আরও কিছু দাবি-দাওয়া ছিল আমাদের। তবে সেগুলো পূরণ হয়নি।"
আদালতের নির্দেশ হাতে পেয়ে তবেই প্রতিক্রিয়া জানাবে AMRI
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে আমরি কর্তৃপক্ষ জানান, আদালতের নির্দেশের লিখিত প্রতিলিপি এখনও তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয়নি। সেটি হাতে পেলে বিভিন্ন দিক খুঁটিয়ে দেখবেন তাঁরা। তার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন এবং বিবৃতি প্রকাশ করবেন।