Cooch Behar News: কোচবিহারের সীমান্তে ধেয়ে এল ইট-পাথর, ফের বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত BSF !
BSF Attacked Bangladeshi Goons : বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত ২ জওয়ান

কোচবিহার: সীমান্তে বাংলাদেশের উস্কানি অব্যহত। ফের বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত BSF! কোচবিহারের গিতালদহ সীমান্তে পাথর-ইট ছুড়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত হয়েছে ২ জওয়ান।

বাংলাদেশে ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের উদ্দেশ্যে লাগাতার হুমকি, হুঁশিয়ারি, যুদ্ধজিগির শোনা গেছে সে দেশের নেতাদের গলায়। কখনও সীমান্তে কাঁটাতার লাগাতে বাধা আবার কখনও বিজিবির মদতে ভারতীয় ভূখন্ডে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গত মাসেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল মালদার সুখদেবপুর সীমান্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিল, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মদতে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল কয়েক হাজার বাংলাদেশের নাগরিক। কেটে নিয়েছিল চাষ করা গম, তুলে নিয়ে গিয়েছিল চাষের যন্ত্রপাতি। ওপার থেকে উড়ে এসেছিল ইট-পাথর-বোমা। কোচবিহারের নারায়ণগঞ্জ সীমান্তে পাচারকারীদের বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হয়েছিল BSF।
সম্প্রতি কাঁটাতার লাগাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তুলকালাম বাধে মালদার বৈষ্ণবনগর কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ সীমান্তেও। এই প্রেক্ষাপটে বিএসএফের দায়িত্ব মনে করিয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ওপার বাংলায় একটু সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু BSF-এর সঙ্গে, বর্ডার দেখার দায়িত্ব BSF-এর, যদি কোনও অন্যায় হয় আমরা দেখে নেব, কিন্তু মনে রাখবেন BSF-এর সঙ্গে যদি ওদের বচসা হয়, আপনারা গ্রামের লোকেরা সেখানে যাবেন না, আর পুলিশকে বলব মাইকে প্রচার করে বলবেন, যে আমাদের ইন্ডিয়ার লোকেরা এপারে চলে আসুন, বাদবাকিটা প্রশাসন দেখে নেবে।'
সম্প্রতি রাজ্যে একের পর এক আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গি ধরা পড়েছে। তাদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে ভারতে ঢুকেছে। কেউ কেউ এখানে এসে ভুয়ো নথি দিয়ে তৈরি করে ফেলে ভারতীয় ভোটার কার্ড থেকে শুরু করে পাসপোর্টও। এরাজ্যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রীতিমতো বসবাসও শুরু করে দেয়। সেনিয়েও সতর্কবার্তা শুনিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইউনূস সরকার। তারই পাল্টা, দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে ডেকে কড়া বার্তা দিয়েছিল বিদেশমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে খবর, কাঁটাতারের ইস্যু-সহ নিরাপত্তাজনিত দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে, সেই প্রোটোকল মেনে চলছে ভারত সরকার। এদিন এই বিষয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি।
আরও পড়ুন, জোকা ESI-র বয়েজ হস্টেলের পিছনে কী ওটা ? উঁকি ক্যান্টিন কর্মীদের, গুলিয়ে উঠল গা, ব্যাগে মাংসপিণ্ড !
সীমান্তে পাচার-সহ যেকোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ, দুষ্কৃতীদের পারাপার রুখতে বদ্ধপরিকর ভারত সরকার। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তে সার্চ লাইট-সহ উন্নত প্রযুক্তির ডিভাইস ব্য়বহার করা হচ্ছে। তাই, সীমান্তে সব রকম অপরাধমূলক কাজের যবনিকা টানতে, যাবতীয় সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নেবে বাংলাদেশ সরকার বলেই আশাবাদী ভারত।






















