Cooch Behar News: সাপে কামড়ানো রোগীর চিকিৎসায় সঙ্গে নিয়ে আসা হল সাপ !
Cooch Behar Snake Incident: সাপে কামড়ানো রোগীকে চিকিৎসা করাতে তার সঙ্গে নিয়ে আসা হল সাপ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: সাপে কামড়ানো রোগীকে চিকিৎসা করাতে তার সঙ্গে নিয়ে আসা হল সাপ (Snake) । ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে (Tufanganj Hospital)। অসমের হালাকুরার বাসিন্দা এক মহিলাকে কামড়ায় সাপ। এরপরে তার বাড়ির লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এবং সঙ্গে করে সেই সাপটিকেও নিয়ে আসে। সাপ দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যায় হাসপাতালের কর্মীরা (Hospital Worker)। এরপরে এক সর্বপ্রেমীকে খবর দেওয়া হলে তিনি এসে সাপটিকে অন্যত্র ছেড়ে দেন।
লিফলেট, ব্যানার ,সচেতনামূলক অনুষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও বাইশ সালেও বাংলার বুকে এহেন ঘটনা ঘটেই চলেছে। তারপরেও চলতি মাসের শুরুতেই দক্ষিণ ২৪ পরগণায় একটি এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘুমের মধ্যে একরত্তির শরীরে সাপের ছোবলের ঘটনা ঘটে। কিন্তু তড়িঘড়ি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার বদলে, ওঝার দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার। যার পরিণতি হয় মর্মান্তিক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে থেকে মৃত্যু হয় তাঁর। এখনও বাংলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলি কুসংস্কারের আচ্ছন্ন। সচেতনতার অভাব রয়েছে সেখানে।এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে। সাপের ছোবল সত্ত্বেও ওঝার কাছে ফেলে রাখা হয় শিশুকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথর প্রতিমার অচিন্ত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিষ্ণুপুর এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম শুভ বর। যার বয়স মাত্র আট বছর। মা-বাবা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। রোজগারের তাগিদে দিল্লিতে থাকেন তাঁরা। বাড়িতে ঠাকুমা ও ঠাকুরদার সঙ্গে থাকত শুভ। তাঁর দিদিও গ্রামের বাড়িতেই থাকে। রাতে ঠাকুমা এবং দিদির সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়ে সে। ভোরের দিকে সে আচমকা যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠে। ঘুম ভেঙে যায় শুভ-র ঠাকুমার। বিছানায় বিশাল আকারের একটি বিষধর সাপ দেখতে পান তিনি।ওই সাপের ছোবলেই নাতি যে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, বুঝে উঠতে বেশি সময় লাগে না। সঙ্গে সঙ্গে সকলকে ডাক দেন তিনি।
আরও পড়ুন, 'শুভেন্দুকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না ?', 'সিবিআই সেটিং' নিয়ে বিস্ফোরক শান্তনু
এদিকে এই ঘটনার পর এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে যাননি তিনি। ঝাড়ফুঁকের উপরই ভরসা রাখেন ওই প্রবীণ দম্পতি। সেই মতো নিরঞ্জন বর নামের এলাকার এক ওঝার বাড়িতে শুভকে নিয়ে হাজির হন তাঁরা। সেখানে ঘণ্টা পেরিয়ে যায়, চলতে থাকে ঝাঁড়ফুঁক। কিন্তু কিছুতেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বরং যত সময় এগোতে থাকে, ততই শুভর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। ক্রমশ অবসন্ন হয়ে পড়তে থাকে সে। শেষমেশ স্থানীয় গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুভকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।