Cooch Behar News: টমেটোর গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ ! গ্রেফতার চালক
Cooch Behar Drug Trafficking: পাচারের অভিনব পদ্ধতি নিয়ে অভিজ্ঞতার শেষ নেই রাজ্য পুলিশেরও। প্রতিবারই নয়া কৌশল। এবার ফের চক্ষু চড়কগাছ ! টমেটোর গাড়ির ভিতর কী দেখতে পেল পুলিশ ?
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: মাদকপাচারের অভিনব পদ্ধতি নিয়ে অভিজ্ঞতার শেষ নেই রাজ্য পুলিশ থেকে শুরু করে বিএসএফ-দেরও। প্রতিবারই নয়া কৌশল। কখন কফিন খুলে চক্ষু চড়কগাছ হয় পুলিশদের, কখনও আবার পুলিশের গাড়ির স্টিকার লাগিয়ে পাচারের চেষ্টা। এমনকি পুষ্পা স্টাইলেও ট্রায়াল রান হয়েছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এবার দুদিন আগেও যে সবজি নিয়ে মাতামাতি ছিল গোটা দেশে, এবার সেই সবজির গাড়ির আড়ালেই মাদক পাচার। আজ্ঞে হ্যাঁ, টমেটোর গাড়িতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাচারের সময় গ্রেফতার হলেন এক পিকআপ ভ্যান চালক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের রামপুর-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অসম- বাংলা সীমানা লাগোয়া সংকোশ ব্রিজ এলাকায় নাকা চেকিং চালানোর সময় অসম থেকে বাংলায় প্রবেশের পথে টমেটো বোঝাই একটি বোলেরো পিকআপ ভ্যানকে আটক করে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর টমেটো পরিবহণের আড়ালে ৫৮০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন পুলিশ কর্মীরা। অবৈধভাবে গাঁজা পরিবহণের অভিযোগে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা মহমদ হারুল নামে ওই চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।উদ্ধার হওয়া গাঁজাগুলি অসমের গুয়াহাটি থেকে পচারের উদ্দেশ্যে বিহারের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলেও প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে মূল পাণ্ডার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি চারচাকা গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এগরা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সাদা রঙের একটি গাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছিল এগরা থানার পুলিশ।সন্ধ্যা বেলা আচমকাই পুলিশ হানা দিয়ে ওই গাড়িটিকে আটক করে। তল্লাশি চালিয়ে দেখতে পায়, গাড়িটিতে ৫০ কেজির বেশি গাঁজা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাড়িটি কলকাতা সংলগ্ন এলাকার গাড়ি। সুজয় দাস নামে এক ব্যক্তি কলকাতা থেকে গাড়িটি কিনে ৭ নং ওয়ার্ডে একটি রাস্তার পাশে কয়েকদিন ধরে ফেলে রেখেছিল। তিন দিন ধরে গাড়িটি কেন একই জায়গায় পড়ে রয়েছে তা নিয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এরপর খবর দেওয়া হলে এগরা থানার পুলিশ এসে তল্লাশি চালিয়ে গাড়ি থেকে গাঁজা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে, কীভাবে ৩ দিন গাঁজা ভর্তি গাড়িটি রাস্তার পাশে পড়ে ছিল তা প্রশ্ন উঠেছিল।
আরও পড়ুন, ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় সন্ধ্যেবেলাতেও খোলা থাকবে সরকারি আউটডোর
প্রসঙ্গত,গত অগাস্ট মাসে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও নগদ টাকা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুই জন মহিলা। উদ্ধার করা হয় প্রায় ৪১ কেজি গাঁজা ও নগদ ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৪০ টাকা। বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুরমাঠ এলাকার ঘটনা। গত মে মাসে ভিন রাজ্য থেকে গাঁজা আমদানি করা হচ্ছিল বস্তা বস্তা (Marijuana Smuggling)। পুলিশ প্রশাসনের চোখে ধুলো দিতে ব্যবস্থাপনাও ছিল অভিনব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গা বাঁচানো যায়নি না। বরং বস্তা বস্তা গাঁজা সমেত ধরা পড়ে ছ'জন। ওড়িশা থেকে ওই বস্তা বস্তা গাঁজা আনা হচ্ছিল। স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (STF) আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয় ওই ছ'জন। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের শ্যামপুরের কাছে একটি ট্রাক থেকে নয় নয় করে মোট ২২ বস্তা গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ওজন হবে প্রায় ৩৫০ কেজি। এই বিপুল পরিমাণ গাঁজার দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েক লক্ষ টাকা। ট্রাকের মধ্যে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে আনা হচ্ছিল।