Coochbehar: দলের একাংশের তোপে দলেরই আরও এক নেতা, ফের প্রকাশ্যে কোন্দল
TMC: নতুন ওই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধেই পথে নামলেন দলের একাংশ। সরব খোদ অঞ্চল চেয়ারম্যান।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কয়েকদিন মাত্র হয়েছে, তৃণমূলের নতুন অঞ্চল সভাপতির নাম ঘোষণা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে সামনের বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে নতুন ওই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধেই পথে নামলেন দলের একাংশ। অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হলেন খোদ অঞ্চল চেয়ারম্যান। ফের তৃণমূলের অন্দরের কোন্দল সামনে এল কোচবিহারে। রাস্তায় মিছিলও হয়েছে। হাতে হাতে তৃণমূলের পতাকা আর, মিছিল থেকে স্লোগান উঠছে দলেরই নতুন অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে।
কোথায় কোন্দল:
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে কোচবিহারের ফের প্রকাশ্যে চলে এলে তৃণমূলের কোন্দল। এবার মাথাভাঙার প্রেমেরডাঙা অঞ্চলে। সম্প্রতি ওই অঞ্চলের সভাপতি পদে সুকমল নন্দীকে সরিয়ে সুকমল বর্মনকে করা হয়েছে অঞ্চল চেয়ারম্যান। তারপর থেকেই দুই সুকমলের শিবির কার্যত ভাগ হয়ে গিয়েছে। নতুন অঞ্চল সভাপতিকে মেনে নিতে পারছে না দলেরই একাংশ। সুকমল বর্মনকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে, মিছিল করেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, দলীয় কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠকও করে সভাপতির বিরোধী শিবির।
কী অভিযোগ:
প্রেমেরডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ক্ষীরোদ বর্মন বলেন, 'সে তো কোনওদিন সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্তই ছিল না। তাহলে সে নেতা হয়ে গেল! তাকে আমরা অঞ্চল সভাপতি হিসেবে মানব? এটা কি আপনারা মেনে নেবেন?' উত্তরে দর্শকদের মধ্যে থেকে না না রব উঠতে শোনা যায়। ওই এলাকারই আর এক তৃণমূল নেতা অনিল বর্মন বলেন, 'যাঁকে অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে, তিনি তো আগে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। দলের কোনও কাজই করেনি। সুকমল নন্দীর নেতৃত্বেই এখানে দল হয়েছে। এই সভাপতিকে মানি না। প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনই এখন করাচ্ছেন।'
পাল্টা দাবি:
যদিও, তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এই নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। প্রেমেরডাঙার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুকমল বর্মন বলেন, 'পরিবারের কেউ বিজেপির সঙ্গে জড়িত নয়, আমি তো দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল করছি। আমি মনে করি, যারা এসব বলছেন, তাঁরা তৃণমূলের কেউ নন, বিজেপির লোক। তৃণমূলের কেউ হলে এটা কেউ করতে পারে? গতকালের মিটিংয়ের বিষয়ে আমি কিছু জানি না, অঞ্চল সভাপতিকে না জানিয়ে এই মিটিং করা অবৈধ।'
বিজেপির কটাক্ষ:
কোচবিহারের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বীরাজ বসু বলেন, 'নতুন জেলা সভাপতি এসে, তাঁদের পেটুয়া লোকদের দায়িত্ব দিচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই পুরনো লোকদের তোলাবাজি বন্ধ হয়েছে, নতুন ও পুরনো কমিটি কেউ কাউকে মানছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মানুষের মনে ভয়ের সঞ্চার হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: দলীয় সভায় মহিলাদের উপস্থিতি কম, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার