Coochbehar NRC Notice: জুড়ল আরও এক নাম, ফের কোচবিহারের বাসিন্দা অসম সরকারের NRC নোটিস
NRC Notice Update: এই নিয়ে অসম সরকারের NRC-র নোটিস পাওয়ার কথা জানালেন কোচবিহারের আরও এক বাসিন্দা। এই নিয়ে এরাজ্যের ৫ জন বাসিন্দার কাছে পৌঁছল NRC-র নোটিস।

শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: আরও এক কোচবিহারের বাসিন্দার কাছে পৌঁছল NRC নোটিস। তুফানগঞ্জের বাসিন্দা দীপঙ্কর সরকারকে NRC নোটিস পাঠাল অসম সরকার। তৃণমূলের অভিযোগ, কর্মসূত্রে অসমে ছিল, তাই NRC-র নোটিস।
এই নিয়ে অসম সরকারের NRC-র নোটিস পাওয়ার কথা জানালেন কোচবিহারের আরও এক বাসিন্দা। এই নিয়ে এরাজ্যের ৫ জন বাসিন্দার কাছে পৌঁছল NRC-র নোটিস। তার মধ্যে ৪ জনই কোচবিহারের বাসিন্দা। প্রথমে কোচবিহারের দিনহাটার উত্তমকুমার ব্রজবাসী, এরপর আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার অঞ্জলি শীল, তারপর কোচবিহারেরই মাথাভাঙার বাসিন্দা নিশিকান্ত দাসের কাছে এসে পৌঁছেছে অসম সরকারের NRC নোটিস। কোচবিহারেরই আরেক বাসিন্দা মোমিনা বিবিও তিন তিনবার পেয়েছেন এই একই নোটিস। আর এবার, সেই তালিকায় নাম জুড়ল কোচবিহারেরই আরেক বাসিন্দা দীপঙ্কর সরকারের। অসম সরকারের নোটিস হাতে পাওয়ার পর থেকে উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটছে তাঁর।
তুফানগঞ্জের রামপুরের বাসিন্দা দীপঙ্কর সরকার। বছর কয়েক আগে অসমের গৌহাটিতে কাজে যান তিনি। সেখানে বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁকে একবার আটকও করে পুলিশ। তবে নথি দেখানোর পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর কোচবিহারে ফিরে আসেন তিনি। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে প্রথমবার তাঁর বাড়িতে আসে অসম সরকারের NRC-র নোটিস। আর দ্বিতীয় নোটিসটি আসে মার্চ মাসে। অসম সরকারের NRC-র নোটিসপ্রাপ্ত দীপঙ্কর সরকার জানিয়েছেন, "গৌহাটিতে আমি কাজে গেছিলাম। এখন এসেছি বাড়িতে। মার্চ মাসে আমার নোটিসটা এসেছে। তার জন্য আমি আতঙ্কে আছি। আমি কাঠমিস্ত্রির কাজ করি ওখানে। দুইবার আসে। একবার জানুয়ারি মাসে এসেছিল। এই ২০২৫ সালেই। আরেকটা মার্চ মাসে এসেছে। আমি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা কোচবিহার জেলার।''
এদিকে কোচবিহারের একের পর এক বাসিন্দাকে NRC-র নোটিস পাঠানো নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, "সব বাঙালিদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে। কাউকেই ছাড়ছে না। কারণ বাঙালি হচ্ছে প্যানিক। বাঙালিদের ভিতরে এবার প্যানিক তৈরি কর। যাতে বাঙালিরা, আমরা কেউ লোকালি বিজেপি নেতাকে আঁকড়ে ধরি যে আমাকে বাঁচাও।'' বিজেপির সহ সভাপতি উৎপল দাস বলেন, "বাংলার মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে যে বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে বাঙালি এবং পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদেরকে তাড়ানোর একটা চেষ্টা করছে। এই ভয়টা ওরা কাজে লাগিয়ে ভোটের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।''






















