Teesta Erosion: নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা, মেখলিগঞ্জে ভাঙন আতঙ্ক
Coochbehar News: কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ৭৬ নিজতরফ গ্রাম। গত এক সপ্তাহ ধরে গ্রামে ভাঙন চলছে। এই গ্রাম লাগোয়াই রয়েছে তিস্তার মূল বাঁধ।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, মেখলিগঞ্জ: তিস্তার ভাঙনে (Teesta Erosion) বিপর্যস্ত কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ৭৬ নিজতরফ গ্রামের একাংশ। গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে ভাঙন। এই গ্রাম লাগোয়াই রয়েছে তিস্তার মূল বাঁধ। ভাঙন বাড়লে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। দ্রুত ভাঙন রোধে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
বিপর্যস্ত কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ: প্রবল বেগে বইছে তিস্তা। জলের চাপে ভেঙে পড়ছে পাড়। নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বড় বড় মাটির চাঁই। সর্বস্ব হারানোর আশঙ্কা নিয়ে পাড়ে বসে ভাঙন দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর একটু পাড় ভাঙলেই গ্রাস করবে জমি, বাড়ি। মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা যোগেশ বর্মন বলেন, "খুব আতঙ্কে আছি, মূল বাঁধ ভাঙলে লক্ষাধিক মানুষের ক্ষতি হবে।''
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ৭৬ নিজতরফ গ্রাম। গত এক সপ্তাহ ধরে গ্রামে ভাঙন চলছে। এই গ্রাম লাগোয়াই রয়েছে তিস্তার মূল বাঁধ। ভাঙনের জেরে কোনও ভাবে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গোটা মেখলিগঞ্জ ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা। প্রশাসনকে বার বার ভাঙনের কথা জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। মেখলিগঞ্জের আরেক বাসিন্দা বাবুদেব বর্মন বলেন, "ভাঙন হচ্ছে প্রশাসন খালি আসে আর যায়। কোনও কাজ করে না।''
সেচ দফতর সূত্রে খবর, বাঁধ মেরামতির জন্য বোল্ডার ফেলা হয়েছে। দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফলতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপিও। বিজেপির জলপাইগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায় বলেন, "অবশ্যেই প্রশাসনের গাফিলতি। এক দেড় মাস ধরে ভাঙন চলছে। রাজ্য তিস্তার দিকে নজর না দিলে আমরা কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাব মেরামতির সামগ্রী খুবই সামান্য। আমরা সেচ বিভাগের সঙ্গে কথা বলব।'' মেখলিগঞ্জ নিজতরফ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূল নেত্রী গীতা রায় বলেন, "সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে, বিধায়ককে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।''
এদিকে ভয়াবহ ভয়াবহ ভাঙনের মুখে রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির আশ্রম। গতকাল ১-৫ নম্বর পর্যন্ত স্নানঘাটের রাস্তা গতকাল জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায়। সিভিল ডিফেন্সের তরফে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চলছে। নিম্নচাপ ও কটালের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গিয়েছে গাছ, উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। সমুদ্র পাড়ের অসংখ্য অস্থায়ী দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আতঙ্কিত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।