Coochbehar News: পদে ফিরে দলেই সমালোচনার মুখে কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি
দ্বিতীয়বার কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েই ঐক্যের বার্তা দিয়েছিলেন পার্থপ্রতিম রায়। কিন্তু এবার তাঁর ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তুফানগঞ্জের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দ্বিতীয়বারের জন্য কোচবিহারের তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি পদে ফিরে দলেই সমালোচনার মুখে পড়লেন পার্থপ্রতিম রায়। স্থানীয় নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখে কর্মিসভা করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
দ্বিতীয়বার কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েই ঐক্যের বার্তা দিয়েছিলেন পার্থপ্রতিম রায়। কিন্তু এবার তাঁর ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন তুফানগঞ্জের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। কোচ রাজার তালুকে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্দরের বিরোধ। বৃহস্পতিবার জেলা সভাপতির একটি সভাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “নিজেদের মধ্যে যুযুধান পক্ষ না রেখে, বেশি করে দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারা ফুটিয়ে তুলতে হবে। সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী।‘’
অন্দরন ফুলবাড়ি ২ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি দুলাল চক্রবর্তীর অভিযোগ, তাঁকে অন্ধকারে রেখেই এলাকার কর্মীদের নিয়ে সভা করেন দলের জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, “আমাকে অন্ধকারে রেখে গতকাল এলাকায় সভা করেন পার্থপ্রতিম রায়। ওই সভায় বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো তৃণমূল কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এধরনের ঘটনায় দলের অন্দরে সংঘাত আরও বাড়বে।‘’ অন্দরন ফুলবাড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন উপপ্রধান মহম্মদ আশার আলি বলেন, “অঞ্চল সভাপতি বা আমি বর্ষীয়ান নেতা, আমাদের জানানো হয়নি। কিছু বিজেপির লোককে নিয়ে মিটিং করলেন।‘’
তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, “বিষয়টা সেরকম নয়। ওখানে ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে সবাই উপস্থিত ছিলেন। নির্ধারিত কোনও কর্মসূচি ছিল না। সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলাম। সদ্য সভাপতি হয়েছি। কিছু অতি উৎসাহী কর্মী পার্টি অফিসে এসে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। যারা এসব বলছেন, না বুঝেই বলছেন।‘’
কোচবিহারে তৃণমূলে সংঘাত অব্যাহত, কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “পার্থবাবু রবিবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন ঐক্যের বার্তা দিতে। এখন তাঁর দলের লোকেরাই অভিয়োগ করেছেন। এটাই তৃণমূলের কালচার। বিজেপিতে এসব নেই।‘’ দলের অন্দরের সংঘাত মেটাতে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি কী কৌশল অবলম্বন করেন, সেটাই এখন দেখার।